বৃষ্টি ঝরে সৃষ্টি সুখে বর্ষাকালের প্রথম ভোরে, টিনের চালে সাত সকালে বৃষ্টি পড়ে অনেক জোরে। বৃষ্টি ভিজে বৌরী পাখি আনন্দময় গাছের ডালে, বৃষ্টি হলে খলসে-পুঁটি আটকা পড়ে খোকার জালে।
বৃষ্টি হলে সজল হয়ে চকচকে হয় গাছের পাতা স্কুলে যায় খুকুমণি মাথায় দিয়ে রঙিন ছাতা। বৃষ্টি ভিজে ঘ্রাণ ছড়িয়ে শুভ্র কেয়া হেসে ওঠে, পল্লবিত কদম গাছে বৃষ্টি ভিজে কদম ফোটে। বৃষ্টিধারায় সৃষ্টি সুখে ঢোল-তবলা মাদল বাজে, বৃষ্টি এলে ব্যস্ত চাষি সকাল থেকে সন্ধ্যা সাঁঝে।
বৃষ্টি ভিজে মাঠের চাষি আনন্দে ধান রোপণ করে, বৃষ্টিভেজা গানের পাখি সুর-কলতান গোপন করে। বৃষ্টিমুখর আষাঢ় মাসে ভাটির দেশে নৌকা ভাসে, হাটবাজারে নৌকা ভরে কত্তো রকম চালান আসে।
বৃষ্টি ঝরে নূপুর পরে আষাঢ় থেকে আশ্বিনজুড়ে, বৃষ্টি ভিজে গাঁয়ের খুকু নাচতে থাকে জল-নূপুরে। নকশীকাঁথা পাটের ছিকা বৃষ্টিকে পায় আপন করে সৃষ্টি সুখের মানুষগুলো বৃষ্টিকে খুব যাপন করে।
ডানপিটেরা বৃষ্টি ভিজে নাচতে থাকে দলবেঁধে, বৃষ্টি মানে কান্নাহাসি- ইচ্ছেমতো যায় সেধে। দুঃখ দিতে বৃষ্টি পড়ে ঝুপড়ি ঘরে রাত্রি ধরে বৃষ্টি পড়ে বর্ষাকালে সমস্ত দিন রাতটা ভরে, বৃষ্টি ভালোবাসে বুঝি দুঃখীকে খুব আদরে?
মোস্তাফিজুল হক শেখহাটি, শেরপুর টাউন
মন্তব্য করুন