তোপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কাজী ছাইদুর রহমান। সরকার পতনের পর অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনেই সাধারণ কর্মকর্তাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি নির্বাহী পরিচালক ১-এর কাছে দায়িত্ব অর্পণ করেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাধারণ কর্মকর্তারা আন্দোলন শুরু করেন। পরে তারা ব্যাংকের গভর্নর বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মকর্তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেন।
এর আগে ব্যাংক খাতে লুটপাট, দখল, অনৈতিক সুবিধা ও নানা অনিয়মে সহযোগিতা করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টাদের বিতাড়িত করেছেন সাধারণ ব্যাংকাররা।
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের কক্ষে ঢুকে তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন। এ সময় তিনি একটি সাদা কাগজে পদত্যাগের কথা লেখেন এবং তাতে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান। এরপরেই বাকি ডেপুটি গভর্নররা পালিয়ে যান। এ সময় সেনাসদস্যরা তাকে নিরাপত্তা দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ এই কর্মকর্তারা সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কার্যালয়ে ছিলেন না বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদশীররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব স্তরের ২০০-এর বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারী এই বিক্ষোভে যোগ দেন। তাদের দাবি, ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব শীর্ষ কর্মকর্তা দায়ী এবং তারা দায়িত্বে থাকলে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরবে না।
বিক্ষুদ্ধ কর্মকর্তা–কর্মচারীরা নির্বাহী পরিচালক-১ জাকির হোসেন চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন