চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুটা প্রবাসী আয়ের দিক থেকে শক্তিশালী সূচনা হয়েছে। মাসের প্রথম সাতদিনে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ১২৫ কোটি ২০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
সোমবার (০৭ জুলাই) একদিনেই দেশে এসেছে ২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যার অর্থমূল্য ২ হাজার ৯১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাইয়ের প্রথম সাত দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের এই সময়ে এসেছিল ৫৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকার সমপরিমাণ।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার (২ ৮২ বিলিয়ন), যার টাকায় পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। মাসজুড়ে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। একক মাস হিসেবে এটি দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তি। এর আগে মে মাসে এসেছে ২.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং মার্চ মাসে এসেছিল সর্বোচ্চ ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল এমন : জুলাইয়ে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুন মাসে এসেছে ২৮২ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।
প্রবাসী আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন