শেষ পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের মধ্যে হলো ‘সমঝোতা’, বসলেন মুখোমুখি। সিলেটের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হয়েছে দুজনের মতবিনিময়। মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) বিকেলে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের সভায় তারা এক টেবিলে বসেন।
সাবেক মেয়র আরিফের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে ডিসি শের মাহবুব মুরাদ কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। আমাদের সঙ্গে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকের মতবিনিময় হয়েছে। সভায় যে কথাগুলো উঠে এসেছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
সম্প্রতি পাথরকোয়ারি নিয়ে শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে মাঠে সরব হন আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপির পক্ষ থেকে ‘তাদের দলীয় কর্মসূচি নয়’ জানানো হলেও সিলেটের শ্রমিক সংগঠনগুলো দখলে নেয় সিলেটের রাজপথ। গত ২ জুলাই সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক মেয়র আরিফ জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেন।
সমাবেশে আরিফ বলেন, ‘ডিসি কোয়ারির বিষয়ে অংশীজনকে নিয়ে সভা ডেকেছেন। তবে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী কিংবা পরিবহন শ্রমিক নেতা কেউ তার বৈঠকে যাননি।
নির্যাতন-নিষ্পেষণ করার পর ডিসি বলছেন, এখন এসো। তাই সবাই ঘৃণাভরে এ বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছেন।’ সমাবেশে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে ডিসিকে প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনার লক্ষ্য হন আরিফুল হক চৌধুরী।
এদিকে শ্রমিকদের ছয় দফা দাবি মানা না হলে সিলেটে গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়েন বেশি বিপাকে। পাশাপাশি সিলেটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে দুপুরে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করেছেন শ্রমিকরা।
এর আগে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী পরিবহন শ্রমিক নেতা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলামসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন