কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নাটকীয়ভাবে বেড়েছে’

ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের নিয়মিত মাসিক মধ্যাহ্ন ভোজ সভায় অংশ নিয়ে কথা বলেন মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলার জন ফে। ছবি : বাসস
ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের নিয়মিত মাসিক মধ্যাহ্ন ভোজ সভায় অংশ নিয়ে কথা বলেন মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলার জন ফে। ছবি : বাসস

বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলার (ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস) জন ফে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সংগঠনের নিয়মিত মাসিক মধ্যাহ্ন ভোজ সভায় অংশগ্রহণে করে এ কথা বলেন তিনি। ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য দেন তিনি।

জন ফে বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর প্রসার নাটকীয়ভাবে ঘটেছে। তবে দু’দেশের বাণিজ্য সীমিত সংখ্যক কয়েকটি পণ্যের মধ্যে আটকে আছে। আর্থিক কিছু নীতির সংস্কার ও মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্যের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ রয়েছে।

মার্কিন কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি মূলত পোশাক নির্ভর এবং যুক্তরাষ্ট্র ইস্পাত ও কৃষির মতো কয়েকটি পণ্য রপ্তানি করে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা, আইটি, শিক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য অবকাঠামো খাতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করার এবং বাণিজ্য বাড়ানোর বিপুল সুযোগ রয়েছে। তিনি এসব খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও রাজস্ব নীতি এবং মেধাস্বত্ব আইনের কিছু জায়গায় সংস্কার এবং অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

জন ফে আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ভোগ্যপণ্য এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিংসহ আরও অনেক খাতের বিদ্যমান চাহিদা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস বা এফসিএসএ খুলেছে যার কাজ হলো মূলত মার্কিন কোম্পানি বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি কোম্পানিকে বাংলাদেশে ব্যবসা করার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ১০০টিরও বেশি অফিস রয়েছে। আমরা নিয়মিত মার্কিন কোম্পানিগুলোকে নতুন বাজারে প্রবেশের ব্যাপারে কাউন্সেলিং করছি। বাংলাদেশি কোনো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কোনো পণ্য, সেবা বা প্রযুক্তি আমদানি করতে চাইলে, এফসিএসএ সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে দিবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অর্থনীতিবিদ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাজানো অভিযান / কলাবাগান থানায় সাবেক ওসির বিরুদ্ধে মামলা

মধ্যপ্রাচ্যে ঘোষণা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট মারামারি করে : আসিফ নজরুল

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

তাসকিনের তাণ্ডবের পরেও লঙ্কানদের লড়াকু সংগ্রহ

ইউলাবে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী

কিছু রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে : দুদু

কম্পিউটার সমিতির সভাপতি জহিরুলকে সনির শুভেচ্ছা

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের থাকতে অধ্যক্ষের নোটিশ

ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত আরও ৪১৬ জন

১০

এনবিআরের ৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

১১

রাজশাহীতে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

১২

সৌদিকে লিখিত বার্তা দিল ইরান

১৩

পরবর্তী জন্মে প্রিয়াংকার স্বামী হতে চান শাহরুখ খান

১৪

সেই সহকারী সচিব তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৫

চট্টগ্রামে ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের বিক্ষোভ

১৬

ভাতা কার্ডের কথা বলে দলিলে স্বাক্ষর, সম্পত্তি লিখে নেন ছেলেরা

১৭

জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

১৮

বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফট কবে?

১৯

৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি

২০
X