অগ্নি, বিদ্যুৎ ও কাঠামোগত নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে রাজউক, সিটি করপোরেশন ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক গবেষণা প্রতিবেদনের উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় সমিতির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন অগ্নি, বিদ্যুৎ ও কাঠামোগত নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করুন। ভবনের মিশ্র ব্যবহার অনুমোদন নিয়েও ভাবতে হবে। বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবনগুলো প্রায়ই কোনো রকম অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ না রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে এসব বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা বাড়ছে। আমরা মনে করি, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মেনে ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে, নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সরকারি সংস্থার নজরদারি কার্যক্রমগুলো আরও জোরদার করতে হবে, দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার দৃষ্টান্তও তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, পোশাকশিল্পে নিরাপত্তার সংস্কৃতি তৈরি করেছি। আমাদের কারখানাগুলো সেফটি রেমিডিয়েশন বাবদ বিপুল বিনিয়োগ করে নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্বে বহুলভাবে প্রশংসিত। আমরা এই অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই, এক্ষেত্রে রাজউক, সিটি করপোরেশন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের মত সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে একটি নিবিড় পর্যালোচনা ও ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি।
বিজিএমইএতে একটি সেফটি সেল রয়েছে। এই সেলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রেইনাররা নিয়মিতভাবে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ, কারখানা পরিদর্শন এবং অগ্নি মহড়া কর্মসূচি পরিচালনা করার কারণে পোশাক কারখানার মালিক ও কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্তব্য করুন