একটি রাশিয়ান মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। নির্ধারিত প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের পর লিপেটস্ক অঞ্চলে অবতরণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তথ্যটি জানায়। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে রাশিয়ান বিমানবাহিনীতে দূরপাল্লার সুপারসনিক ইন্টারসেপ্টর মিগ-৩১ মোতায়েন রয়েছে। প্রায়ই টহল ও প্রশিক্ষণ মিশনের জন্য বিমানটি রুশ সেনারা ব্যবহার করে আসছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই দিন মস্কো সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে লিপেটস্ক অঞ্চলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নির্ধারিত প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের পর অবতরণের সময় মিগ-৩১ বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বাধ্য হয়ে পাইলটরা বেরিয়ে আসেন (ইজেক্ট)। বিধ্বস্তের ঘটনা ক্রুদের জীবনের জন্য কোনো হুমকি হয়ে দাঁড়ায়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিমানটি একটি জনবসতিহীন এলাকায় পড়েছিল এবং দুর্ঘটনার সময় এতে কোনো গোলাবারুদ ছিল না। রুশ মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনার কারণ নির্দিষ্ট করে বলেনি।
কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম দুটি আসনের সুপারসনিক বিমান মিগ-৩১। ইউক্রেনের গভীরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য রাশিয়া ব্যাপকভাবে বিমানটি ব্যবহার করে আসছে। মস্কোর দূরপাল্লার আক্রমণ কৌশলে এই বিমানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ (১০ অক্টোবর) রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। টেলিগ্রাম মনিটরিং চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, হামলার সময় রাশিয়ান বাহিনী কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
মিগ-৩১ বিমানটি ঘণ্টায় ৩,০০০ কিলোমিটার (১,৮৬০ মাইল) গতিতে চলতে পারে এবং ২১,০০০ মিটার (৬৮,৯০০ ফুট) উচ্চতায় উঠতে পারে। এটি শত্রু বিমানকে বাধাগ্রস্ত এবং ধ্বংস করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
মন্তব্য করুন