শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় তার নাম ঘোষণার আগ মুহূর্তেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন আলোচনায়। তিনি নিজে তো বটেই বিশ্বের প্রভাবশালীরাও ট্রাম্পের সুপারিশে নোবেল কমিটির কাছে পত্র পাঠিয়েছেন।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর হাতে গেল নোবেল পুরস্কার। এ নিয়ে নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেসকে প্রশ্ন করেছেন এক সাংবাদিক। জবাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন ফ্রাইডনেস।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়। বলা হয়, নিজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ ট্রাম্পকে পুরষ্কার দিতে চাপ দিয়েছেন। এই চাপ কমিটির কাজে প্রভাব ফেলেছে কিনা তা নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
জবাবে ফ্রাইডনেস বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারের দীর্ঘ ইতিহাসে কমিটি বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়ে প্রচারণা এবং মিডিয়া উত্তেজনা দেখেছে। প্রতি বছর আমরা হাজার হাজার চিঠি পাই। তাতে ওই ব্যক্তিরা কেন শান্তি পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার তা বর্ণনা করা হয়। আমরা কেবল আলফ্রেড নোবেলের কাজ এবং ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিই।
সারা বিশ্ব থেকে মনোনয়ন পাঠানো ব্যক্তিরা কেন পুরস্কার পেলেন না বা তারা কোন যোগ্যতার মাপকাঠিতে হেরে গেছেন তা নোবেল কমিটি কখনও উল্লেখ করে না। এবারও ট্রাম্প কেন যোগ্য নন এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেনি কমিটি। তবে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর ব্যাপারে নরওয়ের নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মাচাদো ভেনিজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য যে অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্যই তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য।
এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ২৪৪ ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা ছিল। ট্রাম্প ছাড়াও অন্য সম্ভাব্যদের মধ্যে ছিল সুদানের ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস এবং কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস, যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে আসছে।
শান্তি পুরস্কারকে নোবেলের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে দেখা হয়। ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এটি জিতেছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন