বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েটসংলগ্ন পলাশী গোল চত্বরে ‘আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ’ উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যয় হয়েছে ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
‘শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোল চত্বরে আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ ও পলাশী ইন্টারসেকশন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই স্থাপনাটি নির্মাণ করেছে ডিএসসিসি।
আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভের প্রতিটি স্তম্ভ সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি-নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে নির্মিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আট স্তম্ভের অবয়বের চেয়ে এতে লিখে রাখা বিষয়গুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই শব্দগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এই বদ্বীপের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার নানা ভাস্কর্য ও প্রকল্প নির্মিত হলেও বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির পক্ষে কিছু করলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়। অথচ আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘আবরার ফাহাদের স্মৃতিকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আবরার ফাহাদ কেবল একজন ব্যক্তি নয়, আবরার ফাহাদ একটি চেতনা, একটি আদর্শ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবরার ফাহাদ ২০১৯ সালে যে বীজ বপন করেছিলেন, সেটি একটি মহীরুহে পরিণত হয়েছে ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাইয়ে। আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে ডিএসসিসি এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা মো. বরকত উল্লাহ ও ভাই আবরার ফাইয়াজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন