সহস্র মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শুভ দীপাবলি উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) শ্যামা পূজার সন্ধ্যায় দেশবাসী ও বিশ্বমানবতার কল্যাণ এবং মৃত স্বজনদের মঙ্গল কামনায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মেলাঙ্গনসহ পুকুর ঘাটে এই সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ্মাবতী দেবী, পূজা পরিষদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, কাজল দেবনাথ একযোগে প্রদীপ প্রজ্বালন করেন। এ সময় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আগত ভক্তরাও প্রজ্বালন করেন প্রদীপ।
এ প্রসঙ্গে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ্মাবতী দেবী কালবেলাকে বলেন, স্বর্গীয় পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় সন্ধ্যায় বাসায় মোমবাতি জ্বালিয়েছি। এরপর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এসেও প্রদীপ প্রজ্বালন করেছি। মা কালী শক্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবী। আমাদের প্রত্যাশা, শুভ দীপাবলীর মধ্য দিয়ে মা যেন অশুভ শক্তি, দীনতা-হীনতা ও অন্ধকার দূর করে চারদিক মঙ্গল আলোয় উদ্ভাসিত করেন।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এ দিন ঢাকাসহ সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা। এই পূজা দীপাবলি উৎসব নামেও পরিচিত। দীপাবলি অর্থ আলোর উৎসব। এ উৎসব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভশক্তির বিজয় ঘোষণা করে। শ্যামাপূজার সন্ধ্যায় প্রদীপের মঙ্গল আলোয় আলোকিত হয় মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি গৃহ। মৃত স্বজনদের মঙ্গল কামনায় প্রদীপ জ্বালিয়ে পানিতে ভাসিয়ে দেন অনেকেই।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ছাড়াও ভক্তরা গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরসহ সারা দেশের বিভিন্ন মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্বালন করেন।
মন্তব্য করুন