প্রায় দুই বছর আগে ইশতিয়াক মাহমুদ পাঠান নামের এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠীদের মধ্যে শোক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এ ঘটনার দুই বছর পর শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় এক যুবক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে আসেন। নিজেকে ইশতিয়াক পরিচয় দিয়ে জানান তিনি বেঁচে আছেন।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের কক্ষে ঢুকে ইশতিয়াক মৃতের তকমা এবং বিষয়টি নিয়ে হয়রানি থেকে নিস্তার চেয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান।
ইশতিয়াক মাহমুদ বলেন, ঘটনা ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে ফেলেন ইশতিয়াক। নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। আট দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইশতিয়াক মাহমুদ। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে মারা গেছেন তিনি। এই খবর নজরে এলে ইশতিয়াক ছুটে যান স্থানীয় থানায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসেও। কিন্তু তাতে কী আর হবে! বিষপানের খবর ছড়ালেও তার বেঁচে ফেরার খবরে সংবাদমাধ্যমসহ কারও আগ্রহ ছিল না। এতে অনেকের কাছে মৃত হিসেবেই রয়ে যান তিনি।
এরপর নিজেকে জীবিত প্রমাণে পৌরসভা থেকে প্রত্যয়নপত্র নেন, বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। এতে তিনি প্রায় দুই বছর পরেও সেই যন্ত্রণায় ভুগছেন। তার ভাষ্যমতে, কেউ কেউ বলছে, বড় অপরাধ করে পার পাওয়ার জন্য আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, কীভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন