ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় কোরবানি দিতে গিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই গরুর শিংয়ের আঘাতে, আবার কেউ কোরবানির পশুর মাংস কাটার ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, এদিন বিকেল পর্যন্ত কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন এমন প্রায় ৫০-৬০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) প্রায় ১০০ জনের ওপরে আহত চিকিৎসা নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আলাউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আহতদের সবাই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন। কেউ গরু শিংয়ের আঘাতে, আবার কেউ বা কোরবানি পশু জবাই দেওয়ার সময় ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। আবার অনেক মাংস কাটার সময় ছুরি কিংবা চাপাতি চালানোর আহত হয়েছেন। এতে কেউ যেমন সামান্য আহত হয়েছেন, আবার অনেকের আঙুল পর্যন্ত কেটে পড়ে গেছে। তবে বেশির ভাগের আঘাত তেমন গুরুতর নয়।
এদিকে নিটোর অথবা পঙ্গু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত হাসপাতালটিতে প্রায় ১০০ জনের ওপরে আহত মানুষজন এসেছেন চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। তাদের সবাই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কারও কারও কোরবানির পশুর আঘাতে হাতের কিংবা পায়ের হাড় ভেঙ্গেছে। এ ছাড়া অনেকে আবার মাংস কাটতে গিয়ে হাতের রগও কেটে ফেলেছেন।
মন্তব্য করুন