চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লোহাগড়ার কৃতী সন্তান শহীদ ইশমামের স্মরণে তার বাড়ির নিকটের কাঁচাসড়কটি পাকা করা হবে। সড়কটি তার নামে নামকরণ করা হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিদর্শনকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ আন্দোলনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ।
লোহাগাড়া পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আন্দোলনে শহীদ ইশমামের কবর জিয়ারত করেন এবং পরে তার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে শহীদ ইশমামের পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, জেলা প্রশাসক দ্রুত শহীদ ইশমামের বড় ভাইকে একটি চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দেন।
পরে জেলা প্রশাসক দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া লোহাগাড়া থানা ও ক্ষতিগ্রস্ত লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ এবং সাতকানিয়া থানা পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক করতে চাইলে থানাগুলো সচল করার বিকল্প নেই। এজন্য আমাদের শিক্ষার্থীরাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এসে থানার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সাহায্য করবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমার দৃঢ বিশ্বাস, শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমার পুলিশ বাহিনীর ভীতি অনেকটা দূরীভূত হবে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি কুচক্রী গোষ্ঠী হামলাগুলো চালিয়েছে; এ কাজ শিক্ষার্থীদের হতে পারে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ যেন আপনাদের দিকভ্রান্ত করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে তিনটি ভাগ করে- উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরে আমাদের তিনটি প্রতিনিধি দল নিয়োজিত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের এই প্রতিনিধিরা জনজীবন স্বাভাবিক করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং করবে।
দিনব্যাপী এই পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইনামুল হাছান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাসসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন