কোথাও পলিথিনের প্যাকেট, কোথাও কলার খোসা, আবার কোথাও পড়ে থাকে চা-কফির প্লাস্টিকের কাপ। চট্টগ্রামের বিভিন্ন রেলস্টেশনে এমন দৃশ্য নিত্যদিনের। এই চিত্র পাল্টাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে বিভাগের অন্তত একটি রেলস্টেশনে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এতে স্টেশনের দৃশ্যপট বদলে যায় অনেকটাই।
রেলওয়ের পরিবহন, মেকানিক্যাল, মেডিকেল, বাণিজ্যিক ও প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযানে অংশ নেন। গ্লাভস ও মাস্ক পরে তারা স্টেশনের প্রবেশপথ, যাত্রী বিশ্রামাগার, প্ল্যাটফর্ম, টয়লেট এবং লাইনঘেঁষা জায়গা পরিষ্কার করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও। পুরো স্টেশনজুড়ে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগের ফলে যাত্রীসেবার মান যেমন উন্নত হবে, তেমনি যাত্রী ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতাও বাড়বে।
রেলওয়ের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন যাত্রীরাও। তবে তাদের দাবি, শুধু এক দিন এ ধরনের অভিযান চালিয়ে যেন রেলওয়ে তাদের কাজ শেষ না করে। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা যেন সবসময় বজায় থাকে।
ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রী মো. আবদুল্লাহ বলেন, রেলস্টেশন প্রায়ই নোংরা থাকে। রেলওয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এক দিনেই শেষ করলে হবে না, নিয়মিত চালু রাখতে হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগের অন্তত একটি স্টেশনে এ ধরনের কর্মসূচি চালাব। ধারাবাহিকভাবে এ উদ্যোগ রেলওয়েকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের শীর্ষস্থানে নিয়ে যাবে।’
বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার তাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, রেলওয়ে ও অন্যান্য জায়গায় লোকবলের সংকট রয়েছে। যেখানে ৩০ জন কাজ করার কথা, সেখানে ছয় থেকে সাতজন কাজ করেন। এতে তাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে, আর কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।
পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট মো. শহীদ উল্ল্যাহ, স্টেশন ম্যানেজার মনিরুজ্জামান মনির, স্টেশন মাস্টার আবু জাফর মজুমদারসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন