পাহাড় কাটা রোধে চট্টগ্রাম নগরের ২৬টি পাহাড়ে সাইন বোর্ড বসিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এসব পাহাড়ের মধ্যে ১০টি বেসরকারি এবং ১৬টি বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকাসহ ২৬টি পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে এসব সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড স্থাপন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, পাহাড়ধসের বিষয়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও সংবাদ ও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং মনিটরিং ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে পাহাড় কাটা প্রতিরোধ করতে। পাহাড়খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড়কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্তত জনসাধারণ পাহাড় কাটার বিষয়ে সচেতন হবে। পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে তারা সরাসরি থানায়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাজহারুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম মশিউজ্জামান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক, হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান, চট্টগ্রাম মহানগরের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এফ এম শামীম, স্টাফ অফিসার ও সহকারী কমিশনার প্লাবন কুমার বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন