কোরবানি উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সকল কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কর্মীদের জরুরি চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম।
জানা গেছে, ৩২২টি গাড়ি নিয়ে চসিকের নিজস্ব শ্রমিকসহ ৪১০০ কর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন। নিজ নিজ ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করবেন।
পাশাপাশি চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ১১০ জন কর্মী পুরো নগরীতে তদারকিতে থাকবেন। নগরীর উত্তর-দক্ষিণের ২২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হবে আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে। পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হবে হালিশহরে আবর্জনাগারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করে নগরীতে পরিচ্ছন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ০২৩৩৩৩৮৯১২১ এবং ০২৩৩৩৩৮৯১২২- এ দুটি নম্বরে কোরবানির বর্জ্য সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ জানাতে পারবেন নগরবাসী।
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, সকাল ৮টা থেকে পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে কোরবানির বর্জ্য ও পুরোনো খড়কুটোসহ বিভিন্ন আবর্জনা সংগ্রহ শুরু হবে। সেগুলো মূল সড়কে নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখা হবে। সকাল ৯টা থেকে ট্রাকে করে বর্জ্য আবর্জনাগারে নিয়ে যাবার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে শহরকে পরিচ্ছন্ন করা হবে।
রোববার (১৬ জুন) বর্জ্য অপসারণের সর্বশেষ প্রস্তুতি দেখতে নগরীর আরেফিননগর এলাকায় আবর্জনাগারে যান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে যেন কোনো ধরনের গাফিলতি করা না হয়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন।
চসিক জানায়, নগরীতে এবার আট থেকে ৯ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর ৪১ ওয়ার্ডকে সাতটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সাতটি জোনে সাতটি পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য।
তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরী মিলিয়ে এবার সাড়ে আট লাখ থেকে পৌনে ৯ লাখ পশু কোরবানির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে ৫ লাখ ২৬ হাজারের মতো গরু, ৭০ হাজার মহিষ এবং বাকিগুলো ছাগল ও ভেড়া।
মন্তব্য করুন