লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৩২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, শতাধিক বসতভিটা বিলীন

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবর্ধন তিস্তা চর এলাকায় নদী ভাঙন। ছবি : কালবেলা
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবর্ধন তিস্তা চর এলাকায় নদী ভাঙন। ছবি : কালবেলা

তিস্তার তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন লালমনিরহাটের মানুষ। জেলার ৫ উপজেলার অন্তত ১৪টি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তা নদীর তীরবর্তী প্রায় শতাধিক বসতভিটা বিলীন হয়েছে।

সরেজমিনে তিস্তা নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় দফা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্ট এবং জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবর্ধন চর এলাকার ৮টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বিলীন হয়েছে মসজিদ মন্দিরসহ অন্যান্য স্থাপনাও। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা।

এদিকে বসতভিটা হারা মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন অন্যের জমিতে। ভাঙন কবলিতদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময় মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিবছরই নদী ভাঙনের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। তবে ইতোমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে।

গত মাসে দুইবার ভারতের উজানে ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে তিস্তায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে নদীর পানি নেমে গেলেও নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ। নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি।

নদী ভাঙনের শিকার তিস্তা গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, তিস্তার পানি নেমে যেতে না যেতেই আমার আবাদি জমি ও বসতভিটা বিলীন হয়েছে। বাড়ি সরিয়ে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছি।

সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নদী ভাঙনের শিকার আজগর আলী বলেন, যেটুকু আবাদি জমি ছিল তা এখন তিস্তার পেটে। নদী এখন বসতবাড়ির কাছে। বাড়ি সরিয়ে কোথায় নিয়ে যাব? আমারতো আর কোনো জমি নেই।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তার গর্ভে পলি জমায় পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে অল্প পানিতে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় ভাঙন। এভাবে প্রতিবছর ভূমিহীন ও গৃহহীনের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ঠিক করবে পরবর্তী সংসদ : অ্যাটর্নি জেনারেল

জেনে নিন ২০২৬ সালে কোন মাসে কতদিন টানা ছুটি কাটাতে পারবেন

রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ

শাহরুখের ‘লাকি’ ভাই এখন কোথায়?

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে আরও একটি সেশন বাংলাদেশের

ফের ধানুশের নায়িকা হতে চলেছেন সাই পল্লবী

যে ১০ সহজাত অনুভূতি আপনার কখনো উপেক্ষা করা উচিত নয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব : আমীর খসরু

ভারসাম্যহীন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে

১০

কেওক্রাডংয়ে পর্যটকদের নিয়ে উল্টে গেল চাঁদের গাড়ি

১১

সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ে সৌদি-আমেরিকা

১২

বিপিএলে আসছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব আখতার!

১৩

৩ হাজার টাকার রঙিন মাছে সাগর এখন লাখপতি

১৪

মূসক আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ

১৫

তিন তক্ষকসহ পাচারকারী গ্রেপ্তার

১৬

পুলিশের ওপর হামলা চললে ঘরবাড়ি নিজেদেরই পাহারা দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

১৭

ঢাকার সিনেমায় শয্যাদৃশ্য নিয়ে তুমুল বিতর্কে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী

১৮

অ্যাজমার কারণ ও লক্ষণ, কীভাবে ভালো থাকবেন

১৯

প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

২০
X