ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে তিন নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম নেপা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
ভারতে পাচার করার সময় একটি বাড়িতে রেখে ওই তিন নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে তারা জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, গোপন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সোমবার বিকেলে নেপা গ্রামের লালন মিয়ার বাড়ি থেকে ৩ নারীকে উদ্বার করা হয়।
উদ্বার তিন নারী আমাদের জানান, তারা গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। মহেশপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে সুজনও একই গার্মেন্টসে কাজ করতেন। সেই সুবাদে সুজন ভারতে তাদের ভালো বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে সলেমানপুর গ্রামে ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে কদম আলীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তাদের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয়, সলেমানপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে আব্দুস সোবাহান ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মফিজের হাতে তুলে দেয়। এই তিনজন তাদের ভারতে পাচারের দায়িত্ব নেয়। ওই নারীদের অভিযোগ, গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন বাড়িতে আটকে রেখে পাচারকারী চক্র তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ওসি আরও বলেন, মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে সোমবার বিকেলে থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ওই তিন নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।