মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার (৪৫) হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল থেকে আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আলহাজ ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাঁচগাঁও ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। একপর্যায়ে মিছিলটি থেকে হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি মিলেনুর রহমান মিলন ও জাহানূর রহমান সওদাগরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
জানা যায়, গত ৭ জুলাই দুপুরে উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আলহাজ ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরদিন ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সুমনের ছোট ভাই ইমন হালদার বাদী হয়ে একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিলেনুর রহমান মিলনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে টঙ্গিবাড়ী থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় আরও ৩-৪ জনকে। এ পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পলাতক আছেন।
পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে পাঁচগাঁও ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে আলহাজ ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মনিরুজ্জামান দেওয়ান, পাঁচগাঁও ওহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন সরকার, পাঁচগাঁও আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান মোল্লা, নিহতের ছোট ভাই প্রবাসী লিমন হালদার, সাবেক ইউপি সদস্য মো. জব্বারসহ স্কুলে ছাত্রছাত্রী, নিহতের পরিবারের সদস্যসহ ৫ শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।
হামলার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত নয় বলে দাবি করেন নিহত সুমন হালদারের ছোট ভাই ইমন হালদার। তিনি বলেন, মিছিল করে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা আসামিদের বাড়িতে হামলা করেছে। তারা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানববন্ধন শেষে হঠাৎ করেই অভিযুক্ত দুই আসামির বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে। অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন