ছাত্র গণআন্দোলনের বিজয় নস্যাৎ করতে বিচার বিভাগীয় ষড়যন্ত্রসহ দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে শেরপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে শেরপুর জেলায় গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আহতদের দেখতে যান এমরান সালেহ প্রিন্স। এ সময় শেরপুর সদর উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে পাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলমের কবর জিয়ারত এবং পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
তিনি শহিদ মাহবুবের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমবেদনা জানান এবং অর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ ছাড়া তিনি শেরপুর হাসপাতালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতাকে দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। একইভাবে তাদেরকে তারেক রহমানের সহমর্মিতা পৌঁছে দেন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
বিকেলে প্রিন্স জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় করেন। জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বক্তব্য দেন।
প্রিন্স বলেন, আন্দোলনের বিজয় নস্যাৎ করতে বিচার বিভাগীয় ষড়যন্ত্রসহ দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা ভারত সরকারের আশ্রয়ে থেকে ‘ছাত্র হত্যাকারী’ ছাত্রলীগের লোকজনকে উসকানি দিচ্ছে। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে অজ্ঞাত স্থান থেকে বলছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী। অথচ শেখ হাসিনার মনোনীত রাষ্ট্রপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলেছেন- শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে চলে গেছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স শেখ হাসিনা ও তার ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার আহ্বান জানান। তিনি প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বাহিনীতে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের অবিলম্বে সরানো ও ষড়যন্ত্রকারীদের আটক করা এবং আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
প্রিন্স গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের প্রতি প্রয়োজনে পাহারা বসিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জানমাল ও উপাসনালয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আ.লীগ বিভিন্ন এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়েও অনৈতিক কাজের চেষ্টা হচ্ছে। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়েও দলের কেউ যদি আ.লীগের ফাঁদে পা দেয়, তবে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।