চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২১ এএম
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় ১৩ দপ্তরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

চান্দিনা উপজেলা পরিষদ। ছবি : কালবেলা
চান্দিনা উপজেলা পরিষদ। ছবি : কালবেলা

চারদিকে এখনো আগুনের পোড়া গন্ধ। ভাঙচুর, লুটপাটসহ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন। একটি দুটি নয়, একে একে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ১৩টি সরকারি দপ্তরে। এই দপ্তরগুলোর সবই কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত।

হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাংলোতেও। দু-একটি ছাড়া প্রায় প্রতিটি সরকারি দপ্তরের একই চিত্র। দেখলে মনে হয় যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট অসহযোগের ডাক দিয়েছিল ছাত্ররা। সেই দিন দুপুর ২টায় শত শত দুর্বৃত্ত চান্দিনা উপজেলা পরিষদে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, চান্দিনা উপজেলার পরিষদ কমপ্লেক্সে ঢুকতেই চোখে পড়ে কমপ্লেক্সজুড়ে ধ্বংসের চিত্র। উপজেলা পরিষদের ভবনের প্রবেশপথেই পড়ে আগুনে পোড়া চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের পোড়া অংশ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, কৃষি, পরিসংখ্যান, সমাজ সেবা, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষক, যুব উন্নয়ন, পরিবার পরিকল্পনা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার, ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের অফিসসহ পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রায় প্রতিটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

পরিদর্শনকালে দেখা যায়, হামলা ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাদ যায়নি অডিটোরিয়ামও। সরকারি দপ্তর খোলা থাকায় কিছু কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে এসে ধ্বংসযজ্ঞ দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।

একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুদ্ধের সময় নির্বিচার হামলা চালালে যে ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ হয়, এখানে প্রায় প্রতিটি সরকারি দপ্তরে সেই একই চিত্র দেখা গেছে।

তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, কী অপরাধ ছিল সরকারি এসব দপ্তরের। এগুলো তো কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ও ছিল না। এগুলো জনগণের করের টাকা দিয়েই আবার করতে হবে। তাহলে এই দায় তো সেই জনগণের ঘাড়েই আবার যাবে।

চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব বলেন, পুরো কমপ্লেক্সের ভেতর হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসস্তূপ। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লার জিওসি উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন করেছেন। আসলে ১৩টি দপ্তরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দপ্তরগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেসব লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার তার কিছুই নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

মালিবাগে শপিং মল থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরি

মারা গেলেন ৫০৯ ম্যাচ জেতা ফুটবলার

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির / ৭২ বছর বয়সে সেফ এক্সিটের কথা ভাবা দুঃখজনক

এবার বিশ্ববাজারে রুপার দামও নতুন উচ্চতায়

বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল আরও ১ দেশ

কটাক্ষের শিকার দীপিকা

পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ কী, যেসব খাবার শুক্রাণু বাড়ায়

ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করল স্পেন

শুক্রবার ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১০

সুখবর দিল আর্টসেল, আসছে তাদের চারটি গান

১১

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

১২

জুবিনের মৃত্যুরহস্যের প্রমাণ জোগাড় করলেন সংগীত পরিচালক 

১৩

বাথরুম থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মরদেহ উদ্ধার

১৪

মেয়ের নাম প্রকাশ্যে আনলেন আরবাজ পত্নী

১৫

শীত কবে নামতে পারে জানালেন বিশেষজ্ঞরা

১৬

জুবিনের মৃত্যুরহস্য, গ্রেপ্তার গায়কের ভাই

১৭

রাতে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে সাবাড়

১৮

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১৯

প্রতি গাছে ৬০০ টাকা ব্যয়, ডিসির প্রকল্পে ‘নয়ছয়’!

২০
X