প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাবে শেরপুরে বন্ধ হয়ে গেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ১৩টি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র। দুটি প্রজনন পয়েন্টে কর্মকর্তা পদায়ন থাকলেও কালেভদ্রে দেখা মেলে তাদের। কোনো সেবাই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ অচল হয়ে পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অবকাঠামোগুলো।
এদিকে বছরের পর বছর প্রাণিসম্পদ অফিসে ধরনা দিয়েও সমাধান হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। তারা চান দ্রুত চালু হোক এই কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্টগুলো। জনবল সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
জেলার সদর উপজেলার ৩টি, নকলার ২টি, শ্রীবরদী উপজেলার ৩টি, নালিতাবাড়ী উপজেলার ৩টি, ঝিনাইগাতী উপজেলার ২টিসহ মোট ১৩টি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে।
ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের হাজার হাজার কৃষক ও খামারিদের। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে গ্রাম্য চিকিৎসকদের উপর নির্ভর করে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩টি গরু, ৫ হাজার ৬৬২টি মহিষ, ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৮টি ছাগল, ১১ হাজার ৩০৫টি ভেড়া রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম ভূইয়া বলেন, শেরপুরের ৫টি উপজেলায় আমাদের উপকেন্দ্র ও সরকারি কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে মোট ১৩টি পোস্ট। তার মধ্যে দুজন আছে। বাকিগুলো ফাঁকা। তারা যেহেতু সরাসরি কৃষকদের সঙ্গে কাজ করে তাই এই পোস্টের কর্মচারী দ্রুত দরকার। অনেক দিন ধরে জনবল সংকট থাকায় কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রগুলোতে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত আছেন। সমস্যাগুলোর সমাধান হলেই কাজ শুরু হতে পারে।
মন্তব্য করুন