ভারতে মামার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা দাস (১৩) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। স্বর্ণা জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনিগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে।
জানা গেছে, রোবরাব (১ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বর্ণা দাস তার মা সনজিতা রানী দাসের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শনিছড়া গ্রামে তার মামা কার্তিক দাসের সঙ্গে দেখা করতে কুলাউড়া উপজেলার লালার চক সীমান্তের দিকে রওনা দেন। সেখানে যাওয়ার পর দালালদের খপ্পরে পড়েন। দালালরা স্বর্ণা ও তার মাকে রাতে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানোর সময় বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা নিহত হয়।
স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, রোববার মেয়েকে নিয়ে স্বর্ণার মা ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। সোমবার ভারতে স্বর্ণার মামার বাড়িতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন স্বর্ণা ও তার মা সেখানে যায়নি। পরে তিনি অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক সেনা কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে শমসেরনগরে এক দালালের বাড়ি থেকে স্বর্ণার মাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সোমবার বিজিবির মাধ্যমে তার মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হন।
স্বর্ণার মা সনজিতা রানী জানান, রোববার গভীর রাতে দালালরা জোরপূর্বক তার মেয়েসহ তাকে ভারতে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিএসএফ গুলি করলে তার মেয়ের গায়ে গুলি লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মেয়েকে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেও আনতে পারেননি।
লালারচক বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা নিহত হয়েছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত আনার জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন