কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ চর বৈরাতী হাজিরহাটে পাশাপাশি সেই দুই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সরজমিনে দেখা যায়, সেতুর উভয় প্রান্তের সংযোগ সড়ক তৈরির কাজ শেষ হওয়ায় স্থানীয়রা এখন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
গত ২৩ জুলাই ‘৩ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে!’ এই শিরোনামে দৈনিক কালবেলা এবং কালবেলা অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইব্রাহিম এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উভয় প্রান্তে সংযোগ সড়ক তৈরি করায় বর্তমানে চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, গত বর্ষায় সেতু দুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এলাকাবাসী রাস্তা দিয়ে চলাচল শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বৈরাতী খালের ওপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করেছে।
কিন্তু গত বন্যায় সেতুটির সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেতু দিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে ৩ কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজে আসছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানায়, সদ্যনির্মিত সেতুটির পরিকল্পনায় ত্রুটির কারণে সেটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ কারণে কৃষকদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে জমির ফসল ঘরে আনতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল মিয়া, শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর বিষয়ে ভালো পরিকল্পনা ছিল না। তাই এখন মই বেয়ে সেতু পারাপার হতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে সদ্যনির্মিত ব্রিজটির সংযোগ সড়ক তিস্তার ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ইতোমধ্যে সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। শিগগিরই রাস্তা নির্মাণ করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।
মন্তব্য করুন