যশোরের মনিরামপুরে তুচ্ছ ঘটনায় হাসিবুর রহমান (২২) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বার্মিজ চাকুসহ মুরাদ হোসেন নামের যুবককে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা। পরে ‘টাকার বিনিময়ে’ তাকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের আমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গৌরিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে হাসিবুর রহমান একটি দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। পার্শ্ববর্তী রতনদিয়া গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের ছেলে মুরাদ হোসেন, ওহাব আলীর ছেলে তামিম হোসেন, আজিজুর রহমানের ছেলে মুন্নাসহ ৭-৮ জন যুবক একই রাস্তায় যাচ্ছিল। এ সময় হাসিবুর রহমানের সাথে মুরাদের ধাক্কা লাগায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে মুরাদসহ তার সঙ্গীরা হাসিবকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে জখম করে। হাসিবুরের চিৎকারে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ওই যুবকদের মধ্যে মুরাদ হোসেনকে একটি বার্মিজ চাকুসহ আটক করে রাজগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেয়। পরে তদন্তকেন্দ্রের এসআই আসিকুর রহমান ও এএসআই ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছুরিসহ মুরাদকে তাদের কাছে সোপর্দ করে।
অভিযোগ উঠেছে, জনতা মুরাদকে চাকুসহ পুলিশে দিলেও টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গুরুতর জখমের শিকার হাসিবুরকে ওই রাতেই কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত হাসিবুরের পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলে হাসিবুরের মাথায় এবং পিঠে ৮ জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। একপর্যায়ে তিনি বলেন, পুলিশ টাকার বিনিময়ে মুরাদকে ছেড়ে দিয়েছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুরাদকে চাকুসহ আটক করে পুলিশের হাতে দেওয়া হলেও তাকে ছেড়ে দেওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এসআই আসিকুর রহমান সাংবাদিক পরিচয় দিতেই ফোন রেখে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও আর রিসিভ করেননি।
মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন সাংবাদিকদের জানান, তিনি দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদের বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু কাউকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।
মন্তব্য করুন