মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘ত্রাণের প্যাকেটে যায় না শিশু খাদ্য’

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মনোহরগঞ্জ উপজেলা মোবাইল ট্রিটমেন্ট। ছবি : কালবেলা
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মনোহরগঞ্জ উপজেলা মোবাইল ট্রিটমেন্ট। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদে কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানি লোকালয়ে থাকায় শিশুখাদ্য ও সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১৭৩টি গ্রামের সব নলকূপ এখনো পানির নিচে থাকার কথা জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এতে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিশুসহ এ এলাকার লাখ লাখ মানুষ। বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি পূরণে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে। এলাকার বিভিন্ন সংস্থা থেকে ত্রাণ সহায়তা পেলেও শিশুদের জন্য নেই কোনো শিশু খাদ্যের ব্যবস্থা।

আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেই শিশুদের কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে আসা চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটের অধিকাংশই খেতে চায় না শিশুরা। গুঁড়াদুধ, সুজি, সাবু, বার্লিসহ শিশুখাদ্যের কোনোটিই যাচ্ছে না ত্রাণ সহায়তায়। ত্রাণ হিসেবে প্যাকেট যাই আসছে সবগুলোতেই থাকছে বেশিরভাগ শুকনো খাবার। এতে শিশুদের খাদ্য নিয়েও বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। তাছাড়া সাম্প্রতিককালের বন্যায় মফস্বলের এসব এলাকার দোকানগুলোতে শিশুখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিশুরা। শিশুখাদ্য, শিশুদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মফস্বল এলাকায় খুব একটা পাওয়া যায় না।

এ আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০ শিশু রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ত্রাণ হিসেবে যা পাওয়া যায় শিশুদেরও তাই খাওয়াতে হয়। বন্যা পরিস্থিতিতে শিশুখাদ্য নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ার কথা জানান তারা। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম মজুমদার কালবেলাকে বলেন, এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সবচেয়ে প্রয়োজন নিরাপদ খাবার পানি। সে লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মনোহরগঞ্জ উপজেলা মোবাইল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে প্রতিটি আশ্রয়ণে খাবার পানি সরবরাহ করছে। যেখানে গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয় সেখানে জেরিকেন হাইজিনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উপজেলার আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আকলিমা জাহান কালবেলাকে জানান, সুষম খাদ্যের অভাবে শিশুদের মাঝে পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে। ছয় মাসের পর থেকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুদের পারিবারিক যে কোনো খাবার দেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৬টি মেডিকেল টিম বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যার্ত মানুষের চিকিৎসা সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, ৬ শ্রমিক দগ্ধ

বাংলাদেশ সমাজকর্ম শিক্ষক সমিতির আত্মপ্রকাশ 

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের স্বাস্থ্য চুক্তি

ভূমিকম্পে নিহত রাফিকে শেষ দেখা দেখলেন মুর্মূষু মা

নরসিংদীতে ফের ভূমিকম্প, বাড়ছে আতঙ্ক

বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের বিকল্প নেই : দুলু

এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, ৩২ ভবনে এখনো মানুষের বাস

১০

মেট্রোরেল লাইনের ওপর পড়ল ড্রোন, অতঃপর...

১১

জাতীয় নার্স কমিশন হতেই হবে : ফরহাদ মজহার

১২

রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন

১৩

আগামীতে দিনের ভোট রাতে আর হবে না : সেলিমুজ্জামান

১৪

জামায়াত প্রার্থীর শোডাউনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণার দাবি ডাকসুর

১৬

কালিগঞ্জে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি : ডা. শহিদুলের সঙ্গে হাজারো নেতাকর্মীর পদযাত্রা

১৭

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় / শিক্ষার মান উন্নয়নে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত

১৮

আইসল্যান্ডে দিনে ১,৬০০ ভূমিকম্প, স্বাভাবিক না ভয়াবহ সংকেত?

১৯

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

২০
X