বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ে সোনালি ধানের ঝিলিক

নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ের ঢালু ভূমিতে উৎপাদিত জুম চাষের ধান কাটছেন জুম চাষিরা।
নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ের ঢালু ভূমিতে উৎপাদিত জুম চাষের ধান কাটছেন জুম চাষিরা।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ের ঢালু ভূমিতে উৎপাদিত জুম চাষের ধান কাটা শুরু হয়েছে। জুমিয়াদের মুখে তাই হাসি ফুটেছে। এ বছর বৃষ্টি দেরিতে হওয়ায় জুমের ধান বপনে সময়ের ব্যবধান বেশি হয়েছে। তাই এখন অনেকে ধান কাটা শুরু করেছেন। কোনো কোনো জুমের ধান এখনো সবুজ আবার কোথাও ধান পাকা শুরু হয়েছে এমন জুমের ধান পাহারা দিতে জুমচাষি সপরিবারে জুমক্ষেতে উঠেছেন।

জুমচাষিরা দল বেঁধে ধান কেটে ঘরে তুলছেন জুমের ফসল। আবার সেসব ধান জুমেই মাড়াই করা হচ্ছে। মাড়াইকৃত ধান থুরংয়ে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাহাড়ে জুমচাষি জুমিয়ারা উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটা শুরু করেছেন। তাই পাহাড়ে পাহাড়িদের একমাত্র ভরসা হলো জুম চাষ। জুম চাষ তাদের একটি আদি প্রথা। এটি তাদের ঐতিহ্য।

পাহাড়ের ঢালে যুগ যুগ ধরে পাহাড়িরা বসবাস করে পিরামিড পদ্ধতিতে জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সেটা এখনো ধরে রেখেছেন জুমিয়ারা। আলীক্ষ্যং মৌজার ফতই হেডম্যানপাড়ার জুমচাষি মেনসন মুরুং জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পাহাড়ে জুমের ফলন ভালো হয়েছে। পরিবেশ ও আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকায় এ সাফল্য এসেছে। জুমধান ছাড়াও জুমে হলুদ, মারফা, চিনাল আদা, মরিচ, কচু, মিষ্টিকুমড়া, তিল, ভুট্টা, বরবটিসহ প্রায় ৪০ জাতের সবজির আবাদ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জুমের উৎপাদিত খাদ্যশস্য দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত সবজি ও কৃষিপণ্য বিক্রি করে জুমিয়াদের সংসার চলে। জুমের উৎপাদিত ধান দিয়ে ৬-৯ মাস পর্যন্ত খাবারের জোগান পাওয়া যায়।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল আলম কালবেলাকে জানান, আবহাওয়া অনুকূল ও নিয়মিত পরিচর্যার কারণে এবার নাইক্ষ্যংছড়িতে জুমের ফলন ভালো হয়েছে। জুমে জুমে এখন চলছে ধান কাটার উৎসব। ধান ছাড়াও বাহারি সবজির চাষ হয়েছে জুমক্ষেতে।

চাষিদের দাবি জুম চাষের জন্য সার, বীজের পাশাপাশি সরকারিভাবে প্রণোদনা দরকার। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জুমখোলার জুমচাষি অংক্যজাই জানান, গতবারের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হয়েছে জুমে। ভালো মানের উন্নত বীজ তারা পান না। সরকারের সহায়তাও নেই। সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারলে ফলন আরও ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক কালবেলাকে জানান, এবারে নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩শ হেক্টর জুম চাষ করার কথা থাকলেও হয়েছে কম। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের যেসব পাহাড়ে জুম চাষ হতো, অন্য বাগান হচ্ছে সেখানে। জুমিয়ারাও চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

১০

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

১১

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

১২

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

১৩

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

১৪

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

১৫

টিটিইসহ ৫ জন আসামি / তিন মাসেও শেষ হয়নি ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার তদন্ত

১৬

স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

১৭

রওনা দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, পাল্টা প্রস্তুতি ভেনেজুয়েলার

১৮

দেশে হবে আরও ৫১৬ কমিউনিটি ক্লিনিক

১৯

ফেসবুকে আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছু বললেই পাবেন না ভিসা

২০
X