দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফারহানা আক্তার চুমকি (৩৫) হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শাহ্ ইফতেখার আহম্মেদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ৮ নম্বর আওলাই ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান আ. রাজ্জার (৫০), বয়রা, ছাতিনালীর এমদাদুল হক (৪৮) দুজনই জয়পুরহাট পাঁচবিবির এবং অপর একজন দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষ্টপুর মরিচার মাইক্রো ড্রাইভার এমদাদুল হক(৪৫)।
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮ নম্বর আওলাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক (৫০), একই উপজেলার বয়রা-ছাতিনালী গ্রামের মৃত মালেক মণ্ডলের ছেলে এমদাদুল হক (৪৮), মরিচা গ্রামে মাইক্রোবাসের চালক এমদাদুল হক (৪৫)।
পুলিশ সুপার জানান, জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলার বর্গাহাটি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ফারহানা আক্তার চুমকি ও তার স্বামী এজাজুল হক সনি। এজাজুল হক মুদি দোকানি ছিলেন এবং দেরিতে বাসায় ফিরতেন। এই সুবাদে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালে চুমকিকে গোপনে বিয়ে করেন আব্দুর রাজ্জাক। এতে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন তিনি। এরপর থেকে চুমকিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, গত ২৭ জুলাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের করার কথা বলে চুমকিকে ডেকে পাঠান আব্দুর রাজ্জাক। পাঁচবিবি থেকে মাইক্রোবাসে করে চুমকিকে ঘোড়াঘাটে নিয়ে আসার পথে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ওই গাড়ীতে উঠেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী। ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে গাড়ির মধ্যেই গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে চুমকিকে হত্যা করেন আসামিরা। পরে তাকে খারাপ মেয়ে বলে আখ্যায়িত করতে মোজাম্মেল হকের আম বাগানে মরদেহ ফেলে যান আসামিরা। ২৮ জুলাই চুমকির মরদেহ উদ্ধার হলে তার বাবা মোখলেছুর রহমান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে হত্যায় জড়িত চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীদেরকে আটক করে।
গ্রেপ্তার তিন আসামিকে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন