ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিমলায় ভাঙন আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা

পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন আতঙ্কে পাড়ের বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত
পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন আতঙ্কে পাড়ের বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেও নদীভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও তলিয়ে রয়েছে চরাঞ্চলের আমন ক্ষেত ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পথঘাট। ফলে এখনও পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট।

তিস্তার পানি কমায় ইতোমধ্যে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখরিবাড়ি, টেপাখরিবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে নদী ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের শামীম আহমেদ বলেন, পর পর কয়েকবার বন্যার কবলে পড়ে ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। আর চলতি বন্যায় চরাঞ্চলে থাকা তিন বিঘা জমির আমন ক্ষেত এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। শেষ এই সম্বলটুকু ঘরে তুলতে না পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আর যেটুকু জমি ছিল গত বন্যায় সেটুকুও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝারসিংহেশ্বর এলাকার হযরত আলী বলেন, হঠাৎ করে বন্যা হওয়ায় গরু ছাগলের খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আর যেকোনো মুহূর্তে আবারও বাড়তে পারে পানি এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে সবার মধ্যে। তবে গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকলেও সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা পাইনি আমরা।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের বাইশপুকুর এলাকার আব্দুল করিম বলেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন এখানকার এলাকাবাসী। যেকোনো মুহূর্তে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের ভাঙন। ইতোমধ্যে অনেকের বাড়িঘর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ৩০ টন চাল ও ১ হাজার ৫৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আতিকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পানি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর সার্বক্ষণিক রাখা হচ্ছে। এখন আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারই জাতির একমাত্র লক্ষ্য : গয়েশ্বর

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভেঙে ফেললেন লন্ডন প্রবাসী

ইসরায়েলের যে কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, টিটিপি প্রধান নিহতের গুঞ্জন

বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল

এককভাবে সরকার গঠন করবে বিএনপি : এমরান চৌধুরী

‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে রংপুর অচল করে দিতে বাধ্য হবো’

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না : লায়ন ফারুক

ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

বৃহত্তর মিরপুরে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১০

দেশ বাঁচাতে হলে বিএনপির বিকল্প নেই : টুকু

১১

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা / বস্তিবাসী ও শহীদ পরিবারের ন্যায্য দাবি মেনে নিন

১২

মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

১৩

রাজধানীতে ১৭ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জাগপা ছাত্রলীগের বৈঠক

১৪

হাত-মুখ বেঁধে শিশুকে ধর্ষণ, যুবককে খুঁজছে পুলিশ

১৫

এনসিটিবির নামে ‘নকল’ ছাপাখানা, আটক ৫ 

১৬

পচা চাল ক্রয়, বাচ্চু মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর

১৭

শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে বন্দি

১৮

পা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আইসক্রিম বিক্রেতা রফিকুল

১৯

গুণগত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা তারেক রহমানের অঙ্গীকার : সাঈদ

২০
X