চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চিলমারীর ভাসমান দুই ডিপোয় তেল নেই পাঁচ বছর

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ভাসমান ডিপো। ছবি : কালবেলা
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ভাসমান ডিপো। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের বার্জ দুটি জ্বালানি তেলশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তেল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ ভোক্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকট দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তেলশূন্য অবস্থায় আছে বার্জগুলো। অথচ এই ব্রহ্মপুত্র নদের রুট ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এই রুটে চলাচল করছে ফেরি।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে মেঘনা ও যমুনা কোম্পানির দুটি ভাসমান তেল ডিপো স্থাপিত হয় চিলমারীতে। ডিপো দুটির অনুমোদিত ২২ জন ডিলার রয়েছেন।

এদিকে, এই তেল ডিপো থেকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি উপজেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ হতো। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও ২২ ফেব্রুয়ারি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের তেল শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে অজানা কারণে ডিপো দুটিতে তেল আসা বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় তেল ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডিপো দুটি তেলশূন্য হয়ে পড়ায় পার্বতীপুর বা রংপুর ডিপো থেকে ১০১.৭০ টাকায় কিনে সড়কপথে তেল আনতে অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়, ঘাটতি ও লেবার খরচ প্রতি লিটারে প্রায় ২ টাকা বেশি হয়। সবমিলে ডিলারদের তেল কিনে চিলমারী পর্যন্ত আনতে প্রায় খরচ পড়ে ১০৩.৭০ টাকা। এরপর খুচরা বিক্রেতা থেকে ক্রেতা। ফলে কৃষকের তেল কিনতে হচ্ছে ১০৬-১১০ টাকায়।

ভাসমান ডিপো দুটি উপজেলার জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানোর পর পার্শ্ববর্তী নারায়ণপুর, যাত্রাপুর, সাহেবের আলগা, রৌমারী, রাজিবপুর, সানন্দবাড়ী, জাফরগঞ্জ, কামারজানী ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সেচ মৌসুমে ভাসমান তেল ডিপো থেকে প্রতিদিনের তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫০ ব্যারেল বা ১ লাখ ৫০ হাজার লিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদে চালিত নৌকা, ড্রেজার মেশিন, জমি চাষের ট্রাক্টর, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালিত জেনারেটর, মাহেন্দ্র গাড়ি, নছিমন-করিমনসহ বিভিন্ন যন্ত্র চালনার জন্য প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ ব্যারেল বা ২০-৩০ হাজার লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি চরাঞ্চলে ব্যাপক ভুট্টা চাষের জন্য জমি চাষ ও সেচ মিলে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০ হাজার লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে।

অন্যদিকে, ডিপো দুটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেখানে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কর্মরত ১৭ কর্মচারীসহ প্রতিদিন খেটে খাওয়া প্রায় ৩০০ শ্রমিকের কাজ না থাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এ ব্যাপারে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ভাসমান ডিপোটি বিপিসির একটি টিম পরিদর্শন করে গেছে। ডিপোটি স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) শফিক আহমেদ বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা কালবেলাকে জানান, ডিপো দুটি যেহেতু কৃষির সঙ্গে জড়িত, অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব। কেন এখানে তেল আসছে না, বর্তমানে কী অবস্থা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কড়া নিরাপত্তায় আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের অনুপ্রবেশ

দামেস্কের সামরিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণ

বিগ ব্যাশ: রিশাদের ম্যাচ কবে কখন, সতীর্থ কারা

মেয়ের ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল নিয়ে কড়া বার্তা ঐশ্বরিয়ার

বিলের জলে লোকসংস্কৃতির ঢেউ 

১৩৬ কোটি টাকার জমি দান করলেন ‘অর্জুন রেড্ডি’র দাদি

স্কুল ভর্তির লটারি বৃহস্পতিবার, ফল জানবেন যেভাবে

এআই কি সব পেশার জন্যই বড় হুমকি

জাপানে ৭.৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, কেমন আছেন প্রভাস?

বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকার পরিস্থিতি কী

১০

চুলকানি শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, হতে পারে বড় অসুখের সংকেত

১১

প্রবাসে যাওয়ার ১৮ দিন পর ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে

১২

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১৩

দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে এই ৩ অভ্যাস বাদ দিন এখনই

১৪

দেশ ও দেশের মানুষ বিএনপির কাছেই নিরাপদ : ড. জালাল

১৫

মস্কোর কাছে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৭

১৬

আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

১৭

শীতের দাপটে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি

১৮

সিটি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

১৯

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

২০
X