গত এক যুগে দেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও পিছিয়ে আছে ঠাকুরগাঁওয়ের মসহুর সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা। চরম দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় দিনযাপন করছে তারা। মসহুর জনগোষ্ঠীর ছাড়াও সাঁওতাল, মুণ্ডা ও ওঁরার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তেমন অগ্রসর হতে পারছে না। সুবিধাবঞ্চিত এই জনগোষ্ঠীর মানুষ এখন চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও পিছিয়ে তারা।
বিশেষ করে ঠাকুরগাঁওয়ের তিন শতাধিক মসহুর সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার খুবই কম। অর্থনৈতিকভাবে নিদারুণ সংকটে রয়েছে তারা। সহজ সরল প্রকৃতির এই মানুষগুলো বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নানামুখী সমস্যা রয়েছে। তাদের আয়-রোজগারেরও তেমন সুযোগ সুযোগ-সুবিধা নেই।
আরও পড়ুন : আদিবাসীর গায়ে প্রস্রাব : পা ধুয়ে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
জায়গা-জমি কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে এলাকার এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা। তাদের বনজ সম্পদও বেহাত হচ্ছে। এ কারণে ভালো নেই মসহুর, সাওতাঁল, মুন্ডা, ওঁরাও জনগোষ্ঠীর মানুষ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাও নাজুক ক্ষুদ্র এই জনগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় অনেককে গৃহ প্রদান করেছি এবং যাদের জমি রয়েছে, যারা গৃহহীন এবং যাদের নিজস্ব জমি রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বরাদ্দের মাধ্যমে তাদের নিজ জমিতে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে আমরা তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে থাকি। আমরা আশা করি তাদের সবাই গৃহ পাবে। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সদস্যদের সার্বিকভাবে জীবনমান উন্নত হচ্ছে। যারা ভূমিহীন তারা গৃহ পেয়েছে ইতোমধ্যে আর যাদের জমি রয়েছে তাদের গৃহ প্রদানের ব্যবস্থা করব।
এ জেলায় প্রায় ৪০ হাজার মসহুর, সাওতাঁল, মুণ্ডা, ওঁরাও জনগোষ্ঠীর বাস। এদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হলে তবেই ক্ষুদ্র এই জাতিগোষ্ঠীর দুঃখকষ্ট মোচন হবে- এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
মন্তব্য করুন