কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সিলেট জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) প্রবাল চৌধুরী পূজনের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেছেন পূজন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত আটটার দিকে দাঁড়িয়া পাড়ায়র পূজনের বাসায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চিনি চোরাচালানে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে পোস্টের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পূজন বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেল করে দাড়িয়াপাড়া পয়েন্টে জড়ো হন। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পূজনের বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পূজন বাসায় ছিলেন না। হামলার খবর শুনে তিনি বাসায় আসার পথে তাকে লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পূজন আহত হন। পরে হামলাকারীর মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
অ্যাডভোকেট পূজন জানান, সিলেট জেলা ও মহানগরের ছাত্রলীগের কমিটি এবং চিনি চোরাচালান নিয়ে তিনি ফেসবুকে কয়েকটি পোস্ট করেন। পরে দলের অভিভাবক ও ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। এই পোস্টের জেরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে তার বাসায় হামলা চালানো হয়।
তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, হামলায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা জিয়ান, রিফাতসহ অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পূজন জানান, এই হামলার ঘটনায় তিনি ডান পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিস্তারিত খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আলী মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দণ্ডের জেরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন