বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিট না থাকায় এক মাস ধরে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
কবে নাগাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কিট পৌঁছাবে তা-ও বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
এদিকে এ সুযোগে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সরকারি হাসপাতালের ফি’র চেয়ে বেশি টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি সারা দেশের মতো বরিশালে এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের রোগী।
এ জ্বরের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে সমান না হওয়ায় সতর্কতাবশত চিকিৎসকরা রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ কারণেও ডেঙ্গু পরীক্ষার চাপ বাড়ছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলায় জুলাই মাসে সাধারণ জ্বর ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও তারা সরকারি হাসপাতাল থেকে শতভাগ সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কারণ, কিট না থাকায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মাস ধরে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তাই রোগীরা ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ছুটছেন।
বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বাসিন্দা বাদল বয়াতি বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ভাতিজাকে নিয়ে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে কিট নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে ৫০০ টাকায় পরীক্ষা করাতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমিও জ্বরে আক্রান্ত। আবার হাসপাতালটিতে গেছি। কিন্তু ডেঙ্গু পরীক্ষা এখনও হচ্ছে না। সরকার আমাদের জন্য ৫০ টাকায় পরীক্ষার সুযোগ দিলেও সে সেবা পেলাম না।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসান নামের এক রোগীর আত্মীয় পরী বেগম বলেন, ‘হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই। এটা মানতে পারছি না। একজন রোগীকে অজপাড়া গাঁ থেকে নিয়ে হাসপাতালে আসাটাই কষ্টের। সেখানে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে না পেরে ফের হাসপাতাল থেকে অন্য বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ায় রোগী ও স্বজনদের জন্য ভোগান্তির। তাই শতভাগ সেবা নিশ্চিতের জন্য শিগগিরই কিটের সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি জানাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রশাদ অধিকারী শনিবার সকালে কালবেলাকে বলেন, ‘বরিশালের সিভিল সার্জন মারিয়া হাসানকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আমি ওপরে কথা বলে দেখি। এ ছাড়া ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের জন্য দুবার চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। কিট হাসপাতালে পৌঁছালে ডেঙ্গুর পরীক্ষা শুরু হবে। কবে নাগাদ এ কিট পৌঁছাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’
মন্তব্য করুন