নেত্রকোনায় সন্তান জন্মগত অসুস্থ হওয়ায় তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগে এক মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের দাবি, অটোরিকশার ধাক্কায় তার শিশু সন্তান পড়ে গিয়ে হারিয়ে যায়। পরে তিনি আর শিশুকে খুঁজে পাননি।
আজ শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার পুকুরিয়া বেগুনপাড়ার একটি কালভার্টের পাশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মায়ের নাম বৈশাখী। তিনি জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার স্বদেশ পণ্ডিতের স্ত্রী। নিহত শিশুটি হলো তাদের দেড় বছর বয়সী ঋত্বিক।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশু ঋত্বিক পাকস্থলিতে ছিদ্র নিয়েই জন্ম নেয়। দরিদ্র মা-বাবা জন্মের পর একবার অপারেশন করায় ছেলের। পরে আবারও সমস্যা দেখা দিলে ১৫ দিন আগে ময়মনসিংহে শিশুটিকে তার চাচার বাসায় রেখে আসা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মা বৈশাখী তার সন্তান ঋত্বিককে নিয়ে নেত্রকোনায় রওনা দেন। পরে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুকুরিয়া বেগুনপাড়ার একটি কালভার্টের পাশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঋত্বিকের মা বৈশাখী দাবি করেন, পরিবারের লোকজনের নানা কথায় বিক্ষিপ্ত মনে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ফিরছিলেন তিনি। রিকশায় করে বড় পুকুরিয়ার এলাকায় পৌঁছালে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। পরে শিশুটিকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে খুঁজতে খুঁজতে অটোরিকশার পেছনে দৌড়ে গিয়েও পাননি।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈশাখী তার বাবাকে ফোন দিয়ে ছেলেকে হত্যার কথা এবং নিজেও মারা যাবে বলে জানায়। বিষয়টি শিশুর বাবা স্বদেশ পণ্ডিতের পরিবারে জানাজানি হয়ে যায়। পরে পারলা এলাকায় নাথপাড়া থেকে বৈশাখীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় শিশুটির বাবা স্বদেশ পণ্ডিত বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় বৈশাখীকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন