রাজশাহী ব্যুরো ও বাঘা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্কুল কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

রাজশাহীর বাঘার একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ স্কুলের বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, তেথুলিয়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে জাফর হোসেন (৪০), আড়পাড়া গ্রামের গাজিউর রহমানের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮), একই এলাকার মানিক হোসেনের ছেলে রোহান হোসেন (২৩), মুনসাদ আলীর ছেলে মানিক হোসেন (৪৫), মকবুল হোসেনের ছেলে লিখন হোসেন (২২), হেদাতিপাড়া গ্রামের তফের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮), আবুল হোসেনের ছেলে এনামুল হক (৩৬), মাঝপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রানা হোসেন (১৮)।

আহতদের মধ্যে দুজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, বিএনপি নেতা মানিক (৪৫) ও রফিকুল ইসলাম (৩৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সভাপতি পদের জন্য লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক আজিবুর রহমান বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রয়াত ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ফোনার সন্তান এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক পলাশ আহাম্মেদ (৫০) প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।

অপর দিকে, বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের প্যানেল থেকে আবেদন জমা দেন প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল (৫০)। এ নিয়ে রোববার সকাল ১১টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী প্রভাষক আনোয়ার হোসেন পলাশ ও প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা একে অপরকে দোষারোপ করে কথা বলেন।

আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান কালবেলাকে বলেন, উভয় প্রার্থীর বাড়ি আড়পাড়া গ্রামে। তারা দুজনই বিএনপির রাজনীতি করেন। তারা সভাপতি পদের জন্য আমার কাছে আবেদন করেছেন। যাচাইবাছাই করে যাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে পরিচালিত হবে, তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আমার এমনটি কথা হয়েছিল। কিন্তু আজ দুপক্ষ সংঘাত সৃষ্টি করে বিদ্যালয়ের বেশকিছু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আ ফ ম আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমাদের আদর্শগত শত্রু বিজেপি, বললেন থালাপতি বিজয়

৩৮ বছরের শিক্ষকতা শেষে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় প্রধান শিক্ষককে বিদায়

পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনার নাম হবে গণহত্যাকারী : আসিফ মাহমুদ

নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা চেষ্টা চলছে : তারেক রহমান

নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ বাংলাদেশি ফুটবলার

অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৮৫ বিলিয়ন ডলারে

জাকসু নির্বাচন, ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নিয়ে আসছে ছাত্রশিবির

ঢাকঢোল পিটিয়ে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার 

‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেব’

১০

আমাদের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি

১১

মানুষ ভাত পাচ্ছে না আর উপদেষ্টারা হাঁসের মাংস খুঁজতে বের হচ্ছেন : আলাল

১২

বিচারককে ‘ঘুষ’, বারে আইনজীবীর সদস্যপদ স্থগিত

১৩

ট্রাক প্রতীক নিয়ে নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন আবু হানিফ 

১৪

শিক্ষককে ছুরি মারা সেই ছাত্রী এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে

১৫

নথি সরিয়ে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি, কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৬

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রাসঙ্গিকতা

১৭

আগামী সরকারে থাকবেন কিনা জানালেন ড. ইউনূস

১৮

বাঁশের পাতার নিচে মিলল ৩৭ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর

১৯

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল

২০
X