মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়ার লামার চিরিংগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ।
নিহত ফোরকান ইসলাম (৫৫) চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফজর আহমদের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
সংঘর্ষের ঘটনায় ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই মামুন, এসআই রাজিব, কনস্টেবল সাগর ও আবদুর রউফ। এ সময় পুলিশের গাড়িসহ সরকারি দুটি ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে, চকরিয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা করার পূর্ব ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশ সেখানে জানাজা পড়তে দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে বিকেল সাড়ে ৪টায় শত শত লোক চকরিয়া পৌরসভার লামার চিরিংগা এলাকায় জমায়েত হয়ে জানাজা শুরু করে। এ সময় অজ্ঞাত মুখোশধারী ২০ থেকে ৩০ জন লোক গিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। জানাজা পণ্ড হয়ে গেলে অজ্ঞাত লোকজন গুলি চালাতে চালাতে লাঠি দিয়ে কয়েকজনকে পেটায়। পুলিশ পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার এক পর্যায়ে জানাজায় আসা লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা স্থান পরিবর্তন করে গায়েবানা জানাজা পড়ে। পরে তারা মিছিল নিয়ে পৌরশহরে গিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ছৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
মন্তব্য করুন