চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসিনা ও এরশাদ জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল : মামুন

নোয়াখালীতে উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মামুনুর রশিদ মামুন। ছবি : কালবেলা
নোয়াখালীতে উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মামুনুর রশিদ মামুন। ছবি : কালবেলা

শেখ হাসিনা ও এরশাদ জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর চাটখিলে ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত আলোচনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগেরই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে, তৎকালীন সেনা বিদ্রোহে শেখ মুজিব ও তার পরিবারের বেশকিছু লোকজন নিহতের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিল। সেদিন গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আমার নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শেখ হাসিনা ভারত থেকে যেদিন বাংলাদেশে আসলেন তার কয়েকদিনের মাথায় শেখ হাসিনা ও এরশাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমার নেতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল। এরপরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।

তিনি আরও বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে, হানাদারদের কাছে আত্মসমর্পণ করে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়ে জনগণকে হানাদারদের মুখে ঠেলে দেয়। শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিতে পারেনি। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশের মানুষ বিজয় লাভ করার পরে শেখ মুজিবকে সাদরে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এই শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করে মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে সেদিন হুমকির সম্মুখীন করেছিল।

মামুন বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এত বেশি অপরাধ করেছে, তাকে তাড়াতে হয়নি। বরং সে নিজেই পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয় পৃথিবীর ইতিহাসে পুরো ক্যাবিনেটসহ কোনো স্বৈরাচারী সরকার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল। শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে এমনভাবে অপব্যবহার করেছে, সে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এমনকি তার এমপি মন্ত্রীরাও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, পতিত হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। বিগত ১৬ বছরে কেউ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের মাধ্যমে ব্যাংক-বিমাসহ রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে ধংস করে দিয়ে গেছে। তাই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ নতুন এক বাংলাদেশ ও আধুনিক এক বাংলাদেশ গঠিত হবে। এ কারণে আগামীতে বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সাজেক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না খুবি ছাত্রীর

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে

বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার

এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ফিল্ডারের থ্রোয়ে আহত আম্পায়ার

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

শাহীনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার ফোরে পাকিস্তান

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

এশিয়া কাপে পাকিস্তান ওপেনারের লজ্জার রেকর্ড

চট্টগ্রামে আ.লীগ কর্মীদের বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং

১০

ভারতে ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’ সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু

১১

বনানীতে দুই শিসা বারে ডিএনসির অভিযান

১২

বয়কটের হুমকি দিয়েও না করার কারণ জানালেন পিসিবি প্রধান

১৩

কর্মচারী দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ

১৪

শাহীন ঝড়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

১৫

‘গোলাপী খালার’ পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৬

পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি মঙ্গলজনক হবে না: নীরব

১৭

চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার কারণ কী?

১৮

রাকসু নির্বাচন / ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

১৯

দীর্ঘ ৬ বছর পর বুটেক্সে ক্যারিয়ার ফেয়ার অনুষ্ঠিত

২০
X