মাদারীপুরের শিবচরে এক গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গৃহবধূর মাথা ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচরে গৃহবধূর বাড়িতেই ঘটে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আলমগীর হোসেন নামে একজনকে আটকও করা হয়েছে।
স্বজনরা জানায়, চার বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরচরের সিরাজ শিকদারের ছেলে স্পিডবোট চালক সুমন শিকদারের (২৬) সাথে লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের (২০) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পারিবারিক কলহের জেরে সম্প্রতি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু তালাক হওয়ার পরও সুমন দফায় দফায় সাদিয়ার বাবার বাড়িতে হামলা চালাত। এ নিয়ে সাদিয়া থানায় অভিযোগ করলে শিবচর থানার এসআই ইজারত হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুলিশ সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাকে শাসিয়েও আসে। পরে সাদিয়ার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়।। এই খবরে সুমন খুব ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই জেরে সুমন তার লোকজন নিয়ে সাদিয়ার বাড়িতে গিয়ে শরীরের এসিড ছুড়ে মারে। পরে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এসিডে সাদিয়ার মাথা ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। স্বজনরা সাদিয়াকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠায়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশিকুর রহমান জানান, এসিড লাগার ফলে ওই গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান মুঠোফোনে জানান, প্রাথমিকভাবে এসিড নিক্ষেপের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আলমগীর হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন