মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা দেশ, মাটি ও পতাকাকে সম্মান করতে শিখেছে। তারাই মুক্ত, সুন্দর সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে এবার দেশটাকে গড়বে। ২৪-এর আন্দোলনকে আমি মুক্তিযুদ্ধ মনে করি। আমরা যদি এ যুদ্ধে কোনোভাবে পা পিছলে পড়ি তাহলে আরেকটি প্রজন্ম আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ কনভেনশন হলে ‘ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশে’র অষ্টাদশ জাতীয় যুব সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের ইন্টেরিম কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত ত্রিপুরা প্রমুখ।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলন হচ্ছে বহু বছরের কষ্ট ও শ্বাসরুদ্ধকর সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য একটি আন্দোলন। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে শক্তিটা বেরিয়ে এসেছে সে শক্তি আমার দেশটাকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, জাগ্রত তরুণরা এবার দেশটাকে পরিবর্তন করবে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার আমলে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, আয়নাঘর, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ব্যাংক লুট ছিল। বস্তুত আমাদের দেশটা ওইসময় দুর্নীতি আর দুর্বৃত্তায়নের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। এখন গণতন্ত্র কার্যকর ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবার মধ্যে সম্প্রীতি থাকা প্রয়োজন।
‘তারুণ্যের প্রত্যয়ে মুছে যাবে ভেদ, গড়ব সুশাসন ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ এ প্রত্যয়কে সামনে রেখে সম্মেলনে প্রায় আট শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী তরুণ অংশ নেন। সম্মেলনে ক্যাথি বার্কের লেখা ‘আই স এ রেভ্যুলেশন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এ ছাড়া দেশের ১০টি অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারীদের ভোটে আগামী এক বছরের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন