বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘চট্টগ্রামে খাল খননে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার’

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালা খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালা খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি : কালবেলা

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, এ বছর চট্টগ্রাম নগরের ২১টি খাল পরিষ্কারের জন্য সরকার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চট্টগ্রামে খাল খননের নামে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিপুল অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। শহরের ভেতরে যে খাল-নালা, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিক অবস্থা পুরো খারাপ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেখান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল-নালা খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল-নালা খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন প্রমুখ।

বহদ্দারহাটের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন এ খালটি খনন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নগরের নাসিরাবাদ, মুরাদপুর, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, বারইপাড়া ও বাকলিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে নতুন এই খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন হয় ২০১৪ সালের ২৪ জুন।

বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের এ খাল খনন প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অন্তত পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এর কাজ শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বর্তমানে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর জুনে। আরেক দফা মেয়াদ বাড়াতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোয় নগরের তিন সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কারণে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়েছে। তবে আগামী দিনে জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ‘মহান মে দিবস’ আজ

নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, প্রশাসনের সতর্কতা

রাজধানী থেকে পুরনো যানবাহন সরাতে অ্যাকশনে নামছে বিআরটিএ

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনওকে বদলি

ববি প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজা

স্কুলের ১৮টি গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর, ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে চিঠি

আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে কুপিয়ে হত্যা

বাবরি মসজিদ বানাবেন পাকিস্তানি সেনারা : পাকিস্তানের সিনেটর

কাশ্মীর হামলার পর চাপে ভারতের মুসলিমরা, বেড়েছে দমনপীড়ন

১০

ছাত্রদের ক্ষমতায় এনে দেশের ক্ষতি করা হয়েছে : সোহেল

১১

সন্ধ্যা নদীতে বাঁধ নির্মাণের দাবি

১২

মে মাসে হতে পারে ২টি ঘূর্ণিঝড়

১৩

শ্রমিক সমাবেশে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান

১৪

ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা ইসরায়েলে

১৫

গ্রাহকদের জন্য বাড়তি সুবিধা আনল বাংলালিংক

১৬

জয়ের পরও শান্তর মুখে হতাশা

১৭

রাজশাহী মাউশি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন

১৮

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১৯

মুসলিম ছাত্রকে পাকিস্তানের পতাকায় মূত্রত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ ভারতে

২০
X