ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার, খোঁজ নেই মায়ের

নবজাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যায়। ছবি : কালবেলা
নবজাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যায়। ছবি : কালবেলা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে একটি নবজাতক কন্যা শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। বাথরুমে গর্ভপাত ঘটিয়ে প্রসূতি মা পালিয়ে গেছেন। নবজাতককে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। এ সময় চিকিৎসক তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে পরামর্শ দেন। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান ওই নারী (রূপসী)। সেখানে সন্তান প্রসব করে কাউকে কিছু না জানিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন নারী ও সঙ্গে থাকা যুবক। এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী সন্ধ্যা রানী নবজাতককে শৌচাগারের মধ্যে দেখতে পেয়ে জরুরি বিভাগে খবর দেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

জরুরি বিভাগের খাতায় রূপসী নামে ওই নারীর নাম লেখা হয়। সেই তথ্যমতে, বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের মালিখালি গ্রামের বাসিন্দা রূপসী। তার স্বামীর নাম আজিজুর বলে খাতায় উল্লেখ করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাতেমা ইশরাত জাহান বলেন, প্রচণ্ড প্রসবব্যথা নিয়ে স্বামী পরিচয়দানকারী এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে আসে রূপসী নামে এক নারী। ওই নারী গর্ভপাত ঘটাতে ১০-১২ ঘণ্টা আগে ওষুধ খেয়েছেন বলেছিলেন। প্রাথমিকভাবে গর্ভের সন্তানটি বেশ বড় মনে হওয়ায় তাকে আলট্রা করতে বলি। তারা আলট্রা করতে যায়। পরে জানতে পারি জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে গিয়ে সেখানে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে রেখে পালিয়ে যায় তারা। আমরা একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন দিলে মোবাইল অফ করে দেন তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নেওয়ার পথে বাচ্চাটি মারা যায়। কে বা কারা এমন কাজ করেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসান কালবেলাকে বলেন, নবজাতককে ফেলে যাওয়ার মতো জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অটোরিকশা চালককে গুলি করে হত্যা

মারা গেলেন ‘দেবদাস’ খ্যাত অভিনেত্রী নাজিমা

এক সপ্তাহ রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখলে কী হয় জেনে নিন

অনুমতি ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করা কি জায়েজ আছে?

আবারও বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ

বিলুপ্তির পথে সুস্বাদু বৈরালি

আত্মহত্যা নিয়ে হিরো আলমের নতুন সিদ্ধান্ত

শিশুদের মূত্রনালির সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন হোন

১০

এবার ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ

১১

গ্যারান্টি দিয়ে বলছি ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে : রাশেদ 

১২

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন প্রকাশ

১৩

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় নিয়োগ

১৪

এইচএসসি পাসেই বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরির সুযোগ

১৫

বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যুবলীগ কর্মীকে গলা কেটে হত্যা

১৬

চীনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধে আবারও পিছু হটলেন ট্রাম্প

১৭

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৮

বাঙালিদের কাছে আলু কেন এত জনপ্রিয়

১৯

গোপনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন প্রেমিক, অতঃপর...

২০
X