শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক

বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। ছবি : কালবেলা
বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে তার ভাতিজা কে এম মারজান, কে এম নাসিরসহ ১০-১২ জন ছাত্রদলকর্মী ওই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। মারধরে মাহমুদের মুখ, চোখ, মাথা, ঘারসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবুল বাশার বলেন, ‘ওনার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা উনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। আরও কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য পরীক্ষা করা হবে।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ১২টা এক মিনিটে মহান শহীদ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির ও তার সমর্থকরা ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে। এ সময় বশির ওই সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে, পরে তার ভাতিজাসহ তার কর্মীরা রড চাপাতিসহ উপর্যুপরি আক্রমণ করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফুল ইসলাম বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতার দ্বারা সরাসরি হামলা শিকার হওয়া দুঃখজনক। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

হামলার শিকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নাসিরনগর প্রেস ক্লাবের সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়েছিলাম। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটানো হচ্ছিল। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমি সেখানে ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দৌড়ে এসে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে তার ভাতিজাসহ বশিরের দলীয় অনুসারীরা রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিন এবং নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাথর মেরে মানুষ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের

ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে ইতালির ইতিহাস

ব্যবসায়ীকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের দাবি ও আহ্বান

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

হেফাজত আমিরের দোয়া নিলেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত

আগামী নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে হবে : গোলাম পরওয়ার

অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় সহিংসতার ঘটনা ঘটছে : সনাতনী জোট

১০

মালিকানা জটিলতায় ইউরোপা লিগ থেকে বাদ ইংলিশ ক্লাব

১১

‘এই দৃশ্য জাহেলিয়াতের নিষ্ঠুরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়'

১২

মিডফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যা / বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : ফখরুল

১৩

হত্যার চিরকুট নিয়ে মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে জখম

১৪

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিন্ন লক্ষ্য

১৫

‘ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির ওপর দায় চাপানো অপরাজনীতি’

১৬

হকিতে লিড নিয়েও জাপানের কাছে হার বাংলাদেশের

১৭

‘সিরিয়াল কিসার’ তকমা পছন্দ করেন না ইমরান হাশমি

১৮

দাবায় চ্যাম্পিয়ন সুব্রত বিশ্বাস

১৯

ভোটের অপেক্ষায় দিন গুনছে দেশের মানুষ : ড. ফরিদুজ্জামান

২০
X