খুলনায় তিন নারী চিকিৎসকসহ চার চিকিৎসক নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুই নারী চিকিৎসককে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ও অপর দুই চিকিৎসককে শনিবার (১৯ আগস্ট) থেকে খুঁজে পাচ্ছে না তাদের পরিবার।
নিখোঁজ চিকিৎসকরা হলেন ডা. লুইস সৌরভ সরকার, ডা. নাদিয়া মেহজাবিন তৃষা, ডা. মুত্তাহিন হাসান লামিয়া ও ডা. শর্মিষ্ঠা সাহা। এর মধ্যে ডা. শর্মিষ্ঠা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম চিকিৎসকদের নিখোঁজের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তবে নিখোঁজদের পরিবার দাবি করছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি তাদের ধরে নিয়ে গেছে। থানা-পুলিশ থেকে তাদের এমনটিই জানানো হয়েছে।
তবে জানতে চাইলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, চিকিৎসক নিখোঁজ বা আটকের বিষয়টি তার জানা নেই। তাদের পরিবার কিংবা বিএমএ থেকে কেউ পুলিশকে নিখোঁজের বিষয়টি জানায়নি।
এদিকে ডা. মুত্তাহিন হাসান লামিয়ার মা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ‘নিখোঁজের পর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হরে জানানো হয়েছে, তাদের সিআইডি আটক করেছে।’
ডা. নাদিয়া মেহজাবিন তৃষার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তৃষার ভাই পরিচয়ে একজন কল রিসিভ করে বলেন, ‘খুলনা সদর থানার ওসি জানিয়েছেন, সিআইডি তাদের নিয়ে গেছে।’
এর আগে গত শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে সিআইডি সদস্যরা এসে নিজ মালিকানাধীন থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ও খুলনা জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস খান তারিমকে আটক করে নিয়ে যায়।
নিখোঁজ চিকিৎসকদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরা অধিকাংশই খুলনা মেডিকেল কলেজের ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ২০১৫ সালে ব্যাপকহারে প্রশ্নফাঁস হওয়ার বছরে তারা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল।
মন্তব্য করুন