নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নওগাঁয় ন্যায্যমূল্যের দোকানে মিলছে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস

নওগাঁয় ন্যায্যমূল্যের দোকানে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি : কালবেলা
নওগাঁয় ন্যায্যমূল্যের দোকানে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি : কালবেলা

পবিত্র রমজান উপলক্ষে নওগাঁয় সুলভ মূল্যে গরুর মাংসসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিনা লাভে বিক্রির ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করেছে জেলা প্রশাসন। ঈদকে ঘিরে কম দামে এই দোকান থেকে গরুর মাংস নিতে সকাল থেকেই স্বল্প আয়ের মানুষদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। গরু জবাইয়ের দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে মাংস।

অনেকেই বলছেন, ঈদ উপলক্ষে একাধিক গরু জবাই করলে স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ও মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য অনেক উপকার হতো। জেলার ১১টি উপজেলায় চালু হওয়া ন্যায্যমূল্যের এই দোকান থেকে ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সদর উপজেলায় সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার এবং অন্যান্য উপজেলায় শুক্রবার এই দোকান থেকে সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি করে গরুর মাংস ৬৪০ টাকা কেজিতে পেয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলার ১১টি উপজেলায় প্রশাসন কর্তৃক ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বিনা লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। এই দোকানে প্রতি কেজি চিনি ১২৫ টাকা, মুড়ি ৯২ টাকা, চিড়া ভাজা ৯০ টাকা, চিড়া ৬৮ টাকা, ছোলা ও মসুর ডাল ১০০ টাকা, প্রতি লিটার সরিষার তেল ১৮০ টাকা ও প্রতি হালি ডিম ৪০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। রমজান মাসে যেন প্রতিটি মানুষই তাদের খাবার তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার পণ্য হিসেবে গরুর মাংস রাখতে পারেন সেই জন্য খোলা বাজার থেকে কম দামে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

রাণীনগর উপজেলার চকমনু গ্রামের ভ্যানচালক হোসেন শেখ জানান, সামনে ঈদুল ফিতর। তাই ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে কম দামে গরুর মাংস নিতে শুক্রবার ভোর থেকে অপেক্ষা শেষে দুই কেজি মাংস নিলাম। তবে ঈদ উপলক্ষে যদি আরও কয়েকটি গরু জবাই করা হতো তাহলে এই অঞ্চলের অনেক খেটে খাওয়া মানুষ গরুর মাংস কিনতে পারত। এতে করে গরিব ও অসহায় মানুষ ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্তত একবেলা মাংস খেতে পারত।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল কালবেলাকে জানান, রমজান মাসে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে এই দোকান থেকে গরুর মাংস বিক্রি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যেহেতু এই দোকান থেকে প্রতিটি পণ্যই বিনা লাভে বিক্রি করা হয় তাই একাধিক গরু জবাই করা অনেকটাই ব্যয়বহুল। তারপরও ঈদুল ফিতরের আগে আরও গরু জবাই করা যায় কিনা সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এছাড়া রমজান শেষে খোলা পণ্যের দাম বিবেচনা করে আগামীতে ন্যায্যমূল্যের এই দোকান চালু রাখার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচারে আলাদা কমিশন গঠনের দাবি

‘১৭ বছরে ব্যবসা ছেড়ে ভারতে গেছেন অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী’ 

ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ গোপালগঞ্জ : নুরুল হক 

ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে ২৩ দল

আন্ডারটেকার ও মাইক টাইসন আসছেন ‘বিগ বস ১৯’-এ!

চিলিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

সাবেক প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

রাতে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির আভাস

সাফে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮৮০

১১

চীন সফরে নাহিদের সঙ্গে যাচ্ছেন যারা

১২

ব্যালট বাক্সের হিসাব চেয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

১৩

এক দশক পর কারামুক্ত ব্লগার ফারাবী

১৪

১০ মাসেও মেলেনি মোস্তাফিজ হত্যার রহস্য, থামছে না মায়ের কান্না

১৫

নিজের যেসব বদঅভ্যাসে লিভারের ক্ষতি করছেন না জেনেই

১৬

জুলাই সনদ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে এনসিপি

১৭

‘দুর্ভিক্ষ’ শুরু হয়েছে গাজায়, হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল

১৮

তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি : এ্যানি

১৯

৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত, সরকারের ব্যয় হবে কত

২০
X