এখন চায়ের ভরা মৌসুম। মার্চের শেষে থেকে মূলত গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করে, যা নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। বাগানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়। আগস্টের পর উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ইসমাইল হোসেন জানান, এ মৌসুমে চায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ মিলিয়ন কেজি। জুন মাসের প্রথম দিকে চা শিল্প তাপাদাহের মধ্যে পড়ে। বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক পার্বতী গৌঢ় জানান, এখন বেশি বেশি পাতা তুলছেন। হাজরি এখন দুইটা হয়। পাতা তুলেছেন ৬৩ কেজি। এখন প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি পাতা তুলেন।
ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক সাবিত্রী ভূঁইয়া জানান, তিনি পাতা তুলেছেন ৭০ কেজি। এক হাজরিতে ২৪ কেজি; যার জন্য পাবেন ১৭০ টাকা। এর পর প্রত্যেক কেজিতে তিনি আরও ৫ টাকা করে অতিরিক্ত পাবেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের তথ্য মতে, অগাস্ট পর্যন্ত উৎপাদন ৫০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে। অথচ ২০২২ সালের জুলাই মাসে উৎপাদন হয়েছিল ১১ দশমিক ২৭৬ মিলিয়ন কেজি। আর আগস্টে হয়েছিল ১০ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন কেজি।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের রফিকুল হক বলেন, জুন পর্যন্ত মৌসুমের মোট উৎপাদন ২৬.৪৬২ মিলিয়ন কেজি। জুলাই থেকে আগস্টে কমপক্ষে ২৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হবে এবং আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০২ মিলিয়ন কেজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন