শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শারীরিক প্রতিবন্ধী চৈতি রানী দেব হতে চায় দৌড়বিদ

চৈতি রানী দেব। ছবি : কালবেলা
চৈতি রানী দেব। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের ভূনবীর গ্রামের দরিদ্র কৃষক সত্যদেব এবং গৃহিণী শিলুদেব দম্পতির ছোট সন্তান চৈতি রানী দেব (১৩)। স্থানীয় দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে।

চার মেয়ের সবাই স্বাভাবিক হলেও চৈতি সবার ছোট এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকেই অন্য বোনেরা যখন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে তখন চৈতি ছিল নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি চৈতিকে। নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির দ্বারা প্রচণ্ড পরিশ্রম করে স্কুলের শিক্ষক, কোচ এবং পরিবারের সহযোগিতায় চৈতি আজ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন।

মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে অদম্য ইচ্ছে শক্তি দিয়ে একজন দৌড়বিদ হিসেবে নিজেকে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত করেছে। স্কুলের সহপাঠী, শিক্ষক এবং কোচ, এবং মা-বাবার চেষ্টায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে এ চৈতী রানী দেব। গত ৩ অক্টোবর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্যারা অলিম্পিকে ১০০ মিটার দৌড়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার অংশগ্রহণ করতে চলছে দুবাইতে অনুষ্ঠিত দৌড় প্রতিযোগিতায়।

সি বাংলাদেশ (স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইন্ডপেনডেন্স) শ্রীমঙ্গলের প্রশিক্ষক দেব প্রসাদ শীল বলেন, আমরা মূলত শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার নারীদের নিয়ে কাজ করি। চৈতি অনেক মেধাবী ছাত্রী, সে অনেক পরিশ্রম করে, আমরা তাকে সাপোর্ট দিচ্ছি, যাতে সে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে। দেশের সরকারের কাছেও আমরা চৈতির জন্য সহযোগিতা কামনা করি। ন্যাশনাল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুবাইতে অনুষ্ঠিত দৌড়বিদ প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পেয়েছে, আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।

চৈতির শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান চঞ্চল বলেন, চৈতির প্রশিক্ষণ আমার অধীনেই চলে, সে বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকাতে গিয়ে খেলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ হয়। সামনে তার দুবাই খেলা রয়েছে, আশা করছি চৈতি দুবাইতে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করবে, আর সরকারের কাছে আশাবাদী এ ধরনের যারা মেয়ে আছে তাদের যেন সহযোগিতা করা হয়। তাহলে তারা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারবে।

চৈতির বাবা সত্য দেব বলেন, আমার বাড়ি ভূনবীর, আমার চৈতি জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী, কিন্তু সে অনেক মেধাবী। নিজেকে নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে, কিন্তু তার সকল চাহিদা আমি পূরণ আমি করতে পারি না। আমার মেয়েটার জন্য যদি দেশের সরকার এবং সমাজের বৃত্তবানরা একটু সহযোগিতা করে তাহলে আমার মেয়েটা একদিন দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সামিরা-ডনের ফাঁসি চেয়ে কাশিমপুরে স্লোগানে উত্তাল

আদিবাসীদের নবান্ন উৎসব / রাজশাহীতে ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদযাপন

বিএনপিই পারবে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে : দুলু

সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ ধানের শীষ ছাড়া কিছুই বোঝে না : রুমিন ফারহানা

দুএকটি দল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : নীরব

আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাতের

‘বাকসু’ নাম নিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের টানাটানি

সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী

শেষ মুহূর্তের গোলে হার থেকে বাঁচল ম্যানইউ

সন্তানের জন্মে ব্যতিক্রমী উদ্‌যাপন

১০

আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা সমঝোতা ছাড়াই শেষ

১১

কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি / সবার আগে তীরে পৌঁছে গেলেন ১৮ বছরের তরুণ রাব্বি

১২

শেষ ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের উড়িয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

১৩

‘বাকশালের পর জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন’

১৪

‘১৩ তারিখে আমরা সবাই ঢাকা যাব’ ফেসবুকে পোস্ট করা আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৫

গামিনিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানাল বিসিবি

১৬

প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আমরা যাব, অন্য দল দিয়ে কেন : সালাহউদ্দিন

১৭

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে এক নেতাকে নোটিশ ছাত্রদলের

১৮

ইসির ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি

১৯

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে যোগ দিল ৩৬ দেশের সেনা

২০
X