ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০ 

ভাঙ্গা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ছবি : কালবেলা
ভাঙ্গা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ছবি : কালবেলা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কুমারখালী গ্রামে পূর্ব থেকেই দুটি দলে বিভক্ত। একটি দলের নেতৃত্বে থাকতেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়ন খা, অন্য আরেকটি দলের নেতৃত্ব দিতেন আবু তারা মাতুব্বর। তারা বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে দুই দলনেতাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। বর্তমান ওই গ্রামে নতুন করে নেতৃত্ব দেন এক দলের কাউস মাতুব্বর, নূর হোসেন মাতব্বর অন্য দলের মোকলেস মাতুব্বর, মিন্টু মাতুব্বর।

গত তিনদিন আগে মোকলেছ মাতুব্বর দলের সমর্থক জিন্নাত খালাসি তার পারিবারিক কবরস্থানের জন্য মাটি ভরাট করে, তখন কিছু মাটি বিপক্ষ দলের মোকলেছ মাতুব্বরের সমর্থক রমজান মাতুব্বরের জমিতে যায়। এ নিয়ে তখন তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সেখানে জিন্নাত খালাসীর হয়ে পক্ষ দেন মোকলেস মাতুব্বর ও রমজান মাতুব্বরের পক্ষ নেয় নূর হোসেন মাতুব্বর। এ নিয়ে গত দুইদিন ধরে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সেই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে আজিমনগর মড়া বাজারের ব্রিজের ওপর নূর হোসেন ও মোকলেসের মাঝে কথা কাটাকাটির পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে উভয় দলের লোকজন ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঢাল, সরকি, কাতরা, টেটা, রামদা ও ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় ধরে চলা সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত মজিবর হাওলাদার (৪৮) ও মাসুম হাওলাদারকে (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্য আহতদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মিন্টু মাতুব্বর জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নূর হোসেন মাতুব্বর, মোকলেস মাতুব্বরকে মারধর করলে সংঘর্ষ বড় আকারে রূপ নেয়। আমাদের গ্রুপের সাত থেকে আটজন গুরুতর আহত হন।

অন্যদিকে কাউস মাতুব্বর জানান, জিন্নাত খালাসির সঙ্গে রমজানের দ্বন্দ্ব হলে তৃতীয় পক্ষ এগিয়ে এই গন্ডগোলের সৃষ্টি করেছে।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে আমি নিজেই উপস্থিত থেকে পরিস্থিতির শান্ত করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

০২ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

টিকাটুলিতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

বিয়ের প্রলোভনে ‘ধর্ষণ’, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করতে যান ছাত্রদল নেতা, অতঃপর...

ছাত্রীদের হলে পুরুষ স্টাফ দিয়ে তল্লাশি

দাম কমলো ইন্টারনেটের

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভাবার অনুরোধ তারেক রহমানের

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

১০

জুলাই নিয়ে পুলিশ সদস্যের ‘আপত্তিকর’ পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

১১

শাহজালালে বোয়িং বিমানে লাগেজ ট্রলির আঘাত

১২

আখতারকে রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

১৩

মধ্যরাতে বরখাস্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার

১৪

‘একসঙ্গে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারব না’

১৫

জুলাই যোদ্ধার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম ২ জায়গায়

১৬

বিএনপির অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

১৭

রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে লায়ন্স ক্লাবের খাবার বিতরণ

১৮

জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় / নির্বাচনী জোট গঠনে একমত

১৯

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসার সুপার কারাগারে

২০
X