সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (০৪ মে) দুপুরে কারেন্টের বাজার বোয়াল চত্বর থেকে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। এসময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, পতিত সরকারের আমলে পদায়ন পাওয়া ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটন খাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন ছদ্মনামের ব্যানার নিয়ে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপি কর্মীরা বাধা দেয়। এসময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক ছাড়া অন্য দলীয় নেতারা ছিলেন বলে জানান তিনি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মফিজুর রহমান বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। উপজেলার কয়েকটি পর্যটন স্পট হাওর বিলাসসহ এগুলো নাকি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টার লিজ দেওয়া হয়েছে। যিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন তিনি লিজ পেয়েছেন। এ নিয়ে সংক্ষুব্ধ কিছু ব্যক্তি লিজ না পেয়ে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সকালে তাদের মানববন্ধনে হামলার বিষয়টি শুনেছি। এলাকাবাসী মিলে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে বলে আমি শুনেছি। লিজ না পাওয়াতে উপজেলায় অশান্তি বিরাজ করার চেষ্টা করছে তারা।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান কালবেলাকে বলেন, সকালে একটি মানববন্ধনে হামলার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন