ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাবের ছদ্মবেশে ডাকাতির চেষ্টাকালে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ মে) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- রুবেল (৫০), আরিফ (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৪২), উৎপল দেবনাথ (৩৮) ও দুলু মিয়া (৩৯)।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যায় র্যাবের জ্যাকেট পরিহিত একদল ডাকাত একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করে রুহিতপুর তুলসিখালী ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে নবকলী পরিবহন বাস থামিয়ে যাত্রীদের টার্গেট করে। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকাতরা বাস থেকে সুমন সরকার (৪০) ও অন্তর পাল ওরফে পার্থ (২৩) নামে দুই যাত্রীকে জোরপূর্বক নামিয়ে ফেলে। এর মধ্যে একজন যাত্রী ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। অন্য যাত্রীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু পুলিশের একটি দল নিয়ে রুহিতপুর রামেরকান্দা তিনরাস্তার মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে ডাকাতদের মাইক্রোবাসটি থামিয়ে দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাইক্রোবাসের চালক মো. আবুল কালাম (৪৭) কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের তৎপরতায় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ ডাকাতকে আটক করা সম্ভব হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাতদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস, দুটি ওয়াকিটকি, দুটি র্যাবের কালো জ্যাকেট, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি লেজার লাইট, একটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি লোহার বাটন লাঠি, পাঁচটি ছুরি, একটি ১০ হাত লম্বা রশি, দুটি ভুয়া গাড়ির নম্বর প্লেট জব্দ করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আরিফের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা, শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৯টি, উৎপলের বিরুদ্ধে ৬টি, রুবেলের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা এবং দুলু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা রয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন