বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকেছেন। দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক। তৎকালীন মেজর জিয়া চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র দখল করে তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার কথায় বিশ্বাস করে হাজার হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
শনিবার (১০ মে) চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে নয়ন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি। আমরা এ সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী নই। কিন্তু নবগঠিত একটি দল বিএনপিকে এ সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী বানানোর অপচেষ্টা করছে।
নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না । মানুষের মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। সে সময় অন্যান্য সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে মাত্র ৪টি পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি ছিল। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নিয়ে সকল পত্রিকা প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছিলেন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। সে সময় নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। আগামী নির্বাচনেও বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন হবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন